পশ্চিমবঙ্গে চার আসনে ভোট নিয়ে ৩৬১ অভিযোগ

মুর্শিদাবাদ আসনে একটি কেন্দ্রে আইডি কার্ড দেখাচ্ছেন ভোটারেরাফাইল ছবি

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের চার আসনে ভোট হয়েছে। মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর—এই চার আসনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। 

বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া চার আসনে ভোট হয়েছে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। তবে ভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনে ৩৬১টি অভিযোগ দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে সিপিএমের পক্ষ থেকে, ১৫৩টি। 

মালদহ দক্ষিণের সুজাপুরের একটি ভোটকেন্দ্রে তৃণমূলের কর্মীরা কংগ্রেসের তিন কর্মীকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

শমসেরগঞ্জে এক প্রবীণ কংগ্রেস ভোটারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তির পা ভেঙে গেছে। ডোমকল ও বসন্তপুরে কংগ্রেসের ভোটারদের ভোটদানে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। 

মালদহ দক্ষিণের মোথাবাড়ি ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপিকে ভোট দিতে ভোটারদের প্ররোচিত করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। 

এই চার আসনের মধ্যে সবার দৃষ্টি ছিল মুর্শিদাবাদ আসনের দিকে। এই আসনে লড়ছেন কংগ্রেস-বাম দলের প্রার্থী ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। 

কংগ্রেস-সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল এই চার আসনে কংগ্রেস-বাম দলের প্রার্থীদের ভোটদানে বাধা দিয়েছে। কারণ, তৃণমূল মনে করে, এই চার আসনে কংগ্রেস-বাম জোট যত বেশি ভোট পাবে, তত ক্ষতি হবে তৃণমূল প্রার্থীদের। 

কংগ্রেস-সিপিএম জোটের অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ আসনে সেলিমকে ঠেকাতে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে বাধা দিয়েছেন তৃণমূল সমর্থকেরা। বের করে দিয়েছেন বাম দলের পোলিং এজেন্টদের। ভোটকেন্দ্রের বাইরে সন্ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছে ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। 

এরই মধ্যে মহম্মদ সেলিম মুর্শিদাবাদের একটি ভোটকেন্দ্রে ঢুকে এক ভুয়া ভোটারকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের বিজেপির প্রার্থী গৌরী শঙ্কর ঘোষ অভিযোগ করেন, আজিমগঞ্জের কয়েকটি কেন্দ্রে ভুয়া প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছে তৃণমূল। 

অভিযোগ উঠেছে, সকালে রানীনগর, ডোমকল ও হরিহর পাড়া ভোটকেন্দ্রে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে বোমা ফাটিয়েছেন তৃণমূলের সমর্থকেরা। কংগ্রেস নেতার বাড়িতেও বোমা হামলা হয়েছে। গুঠিয়া ভোটকেন্দ্রে সিপিএম এজেন্টকে মারধর করা হয়েছে। 

পশ্চিমবঙ্গের চারটি আসনে সকাল ৭টায় ভোট শুরু হয়, চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ৪ আসনের নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে ৩৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছিল। এই চার আসনে ৫৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তবে মূল লড়াই হয়েছে তৃণমূল, বিজেপি ও কংগ্রেস-বাম জোটের প্রার্থীদের মধ্যে। 

আরও পড়ুন