মুম্বাইয়ে শ্লীলতাহানির নাটক সাজিয়ে ১০ কোটি টাকা দাবি, দুই নারী গ্রেপ্তার
ভারতের মুম্বাইয়ে শ্লীলতাহানির নাটক সাজিয়ে ১০ কোটি রুপি দাবি করার অভিযোগে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই নারী হলেন হেমলতা আদিত্য পাটকর (৩৯) ও আমরিনা ইকবাল জাভেরি (৩৩)।
মুম্বাই পুলিশের চাঁদাবাজি প্রতিরোধ শাখা ফাঁদ পেতে ঘুষ নেওয়ার সময় ওই দুই নারীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। একজন ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এই পদক্ষেপ নেয়।
অভিযোগকারী অরবিন্দ মুম্বাইয়ের গোয়েল গোরেগাঁও পশ্চিমের একজন ব্যবসায়ী। গত ৫ নভেম্বর তাঁর ছেলে রীতমের বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দান উপলক্ষে ১৪ নভেম্বর রাতে আম্বোলি এলাকার একটি হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল।
১৫ নভেম্বর দিবাগত রাত ২টা ৪০ মিনিটের দিকে অনুষ্ঠান শেষে ব্যবসায়ী অরবিন্দের ছেলে রীতম, তাঁর বাগ্দত্তা এবং বন্ধুরা মিলে লিফটে নিচে নামছিলেন। তখন অপরিচিত এক নারী লিফটে ওঠেন। ওই নারী অভিযোগ করেন, রীতম তাঁর দিকে লেজার লাইট মেরেছেন। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও বিতর্ক শুরু হয়।
লিফটটি নিচতলায় পৌঁছালে ওই নারী চিৎকার শুরু করেন। এতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে আম্বোলি থানায় রীতমের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির একটি মামলা করা হয়।
১০ কোটি রুপি দাবি করে মামলাটি আদালতের বাইরে মিটিয়ে ফেলতে ওই দুই নারী প্রলোভন দেখান। ২০ ডিসেম্বর হেমলতা পাটকর ব্যবসায়ী অরবিন্দ গোয়েলকে আন্ধেরির একটি ক্যাফেতে দেখা করতে বলেন। সেখানে ওই নারী হুমকি দিয়ে বলেন, টাকা না দিলে তাঁর ছেলেকে সারা জীবন কারাগারে পচতে হবে এবং পরিবারের সম্মান নষ্ট হবে।
অনেক দর–কষাকষির পর ওই নারীরা দাবি করা অর্থের পরিমাণ কমিয়ে সাড়ে পাঁচ কোটি রুপিতে নামিয়ে আনেন।
পুলিশের ফাঁদ ও গ্রেপ্তার ব্যবসায়ীর সহায়তায় মুম্বাই পুলিশের চাঁদাবাজ প্রতিরোধ শাখা একটি পরিকল্পনা করে। আসামিদের লোয়ার পারেল এলাকায় ডাকা হয়। সেখানে দেড় কোটি রুপি (যার মধ্যে নকল নোটও ছিল) দেওয়ার ভান করা হয়।
সেখানে অর্থ নেওয়ার সময় পুলিশ ওই দুই নারীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়।
এ ঘটনার সঙ্গে উৎকর্ষ নামে তৃতীয় আরেকজন জড়িত রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওই ব্যক্তি বর্তমানে পলাতক। পুলিশ তাঁকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।