পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ঋতুপর্ণাকে কেন তলব করল ইডি

অভিনেত্রী ঋতুপর্ণাছবি: এএনআই

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পশ্চিমবঙ্গে রেশন বণ্টনব্যবস্থা নিয়ে দুর্নীতির যে তদন্ত চলছে, তার সূত্রেই অভিনেত্রীকে ডাকা হয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী শনিবার অনুষ্ঠেয় সপ্তম ও শেষ দফার নির্বাচনের দুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীকে কেন ডেকে পাঠানো হলো, তা নিয়ে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ঋতুপর্ণা টেলিফোনে পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমকে বলেছেন, তাঁকে ডেকে পাঠানোর কোনো কারণ তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। তিনিও সংবাদমাধ্যম থেকে তাঁকে ডেকে পাঠানোর বিষয়টি শুনেছেন।

ঋতুপর্ণা বলেন, ‘তবে আমি কিছুই জানি না। আমার বাড়ি বা অফিসে কোনো চিঠি আসেনি। যদি চিঠি আসে, তাহলে আমি আইনি পরামর্শ নেব।’

রেশনব্যবস্থার দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাবেক খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে ঋতুপর্ণার যোগাযোগ যে ছিল, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কারণ, একসঙ্গে তাঁদের ছবি অতীতে গণমাধ্যমে দেখা গেছে।

এই প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে তিনি দু–একটি অনুষ্ঠানে দেখেছিলেন। এর বাইরে রাজ্যের সাবেক খাদ্যমন্ত্রীকে তিনি চেনেন না। তাঁদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই।

কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে বহু বিতর্কিত চিটফান্ড–সংক্রান্ত আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে ঋতুপর্ণাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। নির্দিষ্টভাবে তাঁকে ডাকা হয়েছিল প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত পশ্চিমবঙ্গের চিটফান্ড সংস্থা রোজভ্যালির বেআইনি লেনদেন মামলায়।

ওই সময় ঋতুপর্ণাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। রাজনীতি থেকে মোটামুটিভাবে অনেকটাই দূরত্ব বজায় রাখা সফল এই অভিনেত্রীকে তারপর আর ডাকা হয়নি। একটা সময়ের পর বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখালেখিও বন্ধ হয়ে যায়।

এখন লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার দুদিন আগে আবার তাঁকে ডেকে পাঠানোয় বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ঋতুপর্ণা নিজে মনে করছেন, এর পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমকে এই অভিনেত্রী বলেছেন, তাঁর নতুন ছবি মুক্তি পেতে চলেছে। তার আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়তো কেউ এসব রটাচ্ছে। তাঁর মানহানির চেষ্টা হচ্ছে। এটা অন্যায়। এ ঘটনায় গণমাধ্যমের একাংশও হাওয়া দিচ্ছে।