আসামে দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৭৭ শতাংশ

আসামের মরিগাঁওয়ে লোকসভার দ্বিতীয় দফায় ভোট দেওয়ার পর কালিমাখা আঙুল প্রদর্শন করে ছবি তুলছেন দুই তরুণী। প্রথমবারের মতো তাঁরা ভোট দিয়েছেন, ২৬ এপ্রিলছবি: এএনআই

ভারতের আসাম রাজ্যে পাঁচ আসনে গতকাল শুক্রবার প্রথম দফার মতোই ভালো ভোট পড়েছে। গতকাল দ্বিতীয় দফায় প্রায় সাড়ে ৭৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রথম দফায় এই রাজ্যে ভোট পড়েছিল ৭৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। গতকাল আসামের বাঙালি অধ্যুষিত শিলচর, করিমগঞ্জ ছাড়াও ডিফু স্বশাসিত অঞ্চল, নওগাঁও এবং দরঙ্গে মোট পাঁচ লোকসভা আসনে ভোট হয়।

গতকাল ভারতে আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুর, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশসহ মোট ৮৮ লোকসভা আসনে ভোট হয়েছে।

বাংলাদেশ লাগোয়া বরাক উপত্যকার বহু মানুষ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেন। তাঁরা ভোট দিতে গতকাল ও আগের দিন শনিবার অন্যান্য রাজ্য ও জেলা থেকে নিজেদের এলাকায় ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। মধ্যপূর্ব আসামের লামডিং ডিভিশনে একটি ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ায় ছয়টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়। বেশ কিছু ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়। ফলে একটা আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, গতকাল ওই ট্রেনের যাত্রীরা সময়মতো করিমগঞ্জ ও শিলচর আসনে ভোট দিতে পৌঁছাতে পারবেন না।

রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল বেলা দুইটা নাগাদ প্রথম ট্রেনটি ছাড়ে এবং যাত্রীরা গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। সন্ধ্যা নাগাদ নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের মুখপাত্র সব্যসাচী দে গণমাধ্যমকে বলেন, ১০০-১৫০ যাত্রী (ওই সময় পর্যন্ত) লুমডিং রেলওয়ে স্টেশনে রয়েছেন এবং কিছু বাসে তাঁদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। নির্বাচনের কারণে গুয়াহাটি থেকে বাসের ব্যবস্থা করতে হয়েছিল। এতে কিছুটা সময় লেগেছে।

সব্যসাচী বলেন, আটকে পড়া ট্রেনের যাত্রীরা যাতে তাঁদের ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো আবেদন করেছিল।

রেলওয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, আটকে পড়া যাত্রীদের সুবিধার্থে রাজ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে লুমডিং স্টেশন থেকে তাঁদের গন্তব্য পর্যন্ত বিনা মূল্যে বাসের ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের বিনা মূল্যে খাবার ও পানির ব্যবস্থাও করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানায়, আটকে পড়া যাত্রীদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মানুষই ছিলেন। তাঁদের অধিকাংশই শেষ পর্যন্ত ভোট দিতে পেরেছেন বলে জানা গেছে।

আগামী ৭ মে তৃতীয় দফায় আসামে চারটি লোকসভা আসনে ভোট হবে। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানী গুয়াহাটি, বরপেটা, ধুবড়ি ও কোকরাঝাড়।