ঝাড়খন্ডে কংগ্রেস জোটের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথ

নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সরেন শপথ নিলেন। ২ ফেব্রুয়ারিছবি: এএনআই

ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গতকাল শুক্রবার শপথ নিয়েছেন ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও কংগ্রেস জোটের চম্পাই সরেন। তাঁর পূর্বসূরি হেমন্ত সরেনের মুক্তি মিলছে না। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর দায়ের করা একটি রিট আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। গতকাল তাঁকে পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

কথিত জমি কেলেঙ্কারির একটি মামলায় ডিরেক্টরেট অব এনফোর্সমেন্টের (ইডি) হাতে গ্রেপ্তারকে চ্যালেঞ্জ করে গত বৃহস্পতিবার এ আবেদন সুপ্রিম কোর্টে করেছিলেন সরেনের আইনজীবীরা।

সুপ্রিম কোর্ট সরেনকে ঝাড়খন্ড হাইকোর্টে যেতে বলেছেন। তিনি রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করে তা দ্রুত নিষ্পত্তির অনুরোধ করতে পারেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। গত বৃহস্পতিবার আইনজীবী কপিল সিবাল ও অভিষেক মনু সিংভি প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চের সামনে সরেনের বিষয়টির উল্লেখ করেছিলেন।

পিটিশনের শুনানির জন্য বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, এম এম সুন্দ্রেশ ও বেলা এম ত্রিবেদির সমন্বয়ে একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়েছিল। সেই বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টে আনা আবেদনটি ফিরিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে গতকাল ঝাড়খন্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন চম্পাই সরেন। ঝাড়খন্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য রাজ্যের রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণন চম্পাই সরেনকে ১০ দিন সময় দিয়েছিলেন। চম্পাই সরেনের দল ক্ষমতাসীন জেএমএম দাবি করেছে, ৮২ সদস্যের বিধানসভায় তাদের ৪৭ বিধায়ক রয়েছেন। সমর্থন দরকার ৪১ বিধায়কের। তবে চম্পাই সরেন এ পর্যন্ত ৪৩ বিধায়কের সমর্থন সম্পর্কে রাজ্যপালকে নিশ্চিত করতে পেরেছেন।

রাজ্যের মানুষসহ বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের উদ্বেগ জেএমএমের শরিক কংগ্রেসকে নিয়ে। তাদের ১৭ বিধায়কের সবাই জোটে থাকবেন কি না, তা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগে রয়েছে জেএমএম এবং কংগ্রেস দুই দলই। রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান রাজেশ ঠাকুর অবশ্য সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমাদের জোট যথেষ্ট শক্তিশালী। কেউ একে ভাঙতে পারবে না।’

এর আগে চম্পাই সরেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজ্যের গভর্নর সি পি রাধাকৃষ্ণন তাঁকে সরকার গড়তে বলেছেন। আজ সরকার গঠন করা হতে পারে।