পাকিস্তান ও মিসরের লেখকের লেখা বাদ দিল আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি

পাকিস্তানি ও মিসরের লেখকদের লেখা সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয়টির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সিলেবাস থেকে তাঁদের লেখা বাদ দেওয়া হয়েছে।

তাঁরা হলেন পাকিস্তানের লেখক আবু আল-আ’লা আল-মওদুদি এবং মিসরের লেখক সাইয়েদ কুতুব। এই দুই লেখকের লেখায় কিছু ‘আপত্তিকর’ বিষয় আছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে বিএ এবং এমএ ক্লাসের শিক্ষার্থীদের আবু আল-আ’লা আল-মওদুদি এবং সাইয়েদ কুতুবের লেখা বই পড়ানো হতো। সেগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে।

ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, ভারতের ২৫ জন সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদ দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি খোলা চিঠি পাঠান। চিঠিতে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ও হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জিহাদ সম্পর্কিত আপত্তিকর’ বিষয় পড়ানোর কথা বলা হয়।

আবু আল-আ’লা আল-মওদুদির লেখা বই শিক্ষার্থীদের না পড়ানোর আহ্বান জানান। এরপরই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।

আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাফি কিদওয়াই বলেন, পাকিস্তানের আবু আল-আ’লা আল-মওদুদি এবং মিসরের সাইয়েদ কুতুবের লেখা সিলেবাস থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

১৮৭৫ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের আলীগড়ে স্যার সৈয়দ আহমদ খানের উদ্যোগে মোহামেডান অ্যাংলো-ওরিয়েন্টাল কলেজ হিসেবে খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির যাত্রা শুরু হয়।

এ বিষয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের একজন অধ্যাপক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ম্যানেজমেন্ট বোর্ড দুই লেখকের লেখা সব বই পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।