এসসিও সম্মেলনে ভারত-চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আজ শুক্রবার উজবেকিস্তানে একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেবেন। শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দেশটির একটি বন্দরে চীনের সামরিক জাহাজ ভিড়তে পারে—এই বিষয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশের পর উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিল ভারত ও চীন।

চীনের সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতে। দিল্লির আশঙ্কা, ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে শ্রীলঙ্কায় যে বন্দর নির্মাণ করা হয়েছে, তা চীনের সামরিক বাহিনী ব্যবহার করবে। হামবানটোটা নামের ওই বন্দর নির্মাণও করেছে চীন। এশিয়া থেকে সমুদ্রপথে ইউরোপে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে পথটি ব্যবহার করা হয়, সেই পথের খুব কাছে এই বন্দর।

দুই বছর ধরে ভারত ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কে টান পড়েছে। দুই বছর আগে ভারতের লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ভারতের কমপক্ষে ২০ সেনা ও চীনের ৪ সেনা নিহত হন। এরপর দুই দেশই সীমান্তে সেনা উপস্থিতি বাড়ায়। এতে দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বেড়ে যায়।

এসসিও সম্মেলনের আগেও ভারত ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে সিঙ্গাপুরে বৈঠকে বসেছিলেন তাঁরা। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উজবেকিস্তানে চলমান সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে মিলিত হতে পারেন। যদিও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কোনো কথা বলছে না। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

এই সম্মেলন চলাকালেই চীনের সামরিক জাহাজ শ্রীলঙ্কায় যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রেফিনিটিভ এইকনের তথ্য অনুসারে, চীনের গবেষণা ও জরিপকাজে ব্যবহৃত জাহাজ ইউয়ান ওয়াং-৫ হামবানটোটা বন্দরের দিকে যাচ্ছে। আগামী ১১ আগস্ট জাহাজটি বন্দরে পৌঁছাবে। যদিও চীনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।