তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে দিব্যেন্দু অধিকারী ও অর্জুন সিং

অজুর্ন সিং ও দিব্যেন্দু অধিকারী।ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আজ শুক্রবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন দুই সংসদ সদস্য  অর্জুন সিং ও দিব্যেন্দু অধিকারী। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানী দিল্লির বিজেপির কেন্দ্রীয় দপ্তরে উপস্থিত হয়ে দলে যোগ দিলেন এই দুই সংসদ সদস্য। অর্জুন সিং উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাকপুরের আর দিব্যেন্দু পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের সংসদ সদস্য।

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্যর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন এই দুজন। এ সময় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দিব্যেন্দু পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলের নেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই। আর অর্জুন সিং বিজেপি থেকেই নির্বাচিত ছিলেন। পরে অবশ্য তৃণমূলে যোগ দেন। এবারের নির্বাচনে তৃণমূলের মনোনয়ন না পেয়েই তিনি আবার বিজেপিতে গেলেন।

অর্জুন সিং উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাকপুরের তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতা। ২০১৯ সালে সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি ওই বছরের ১৪ মার্চ যোগ দেন বিজেপিতে। ওই নির্বাচনে তিনি জয়ী হন। মাত্র দুই বছর পর তিনি ২০২২ সালের ২২ মে তিনি বিজেপি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। সেই থেকে তৃণমূলেই ছিলেন।

১০ মার্চ কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃণমূল আয়োজিত ‘জনগর্জন সভা’য় মমতার প্রকাশ করা লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় তৃণমূলের ৪২ জন প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম না দেখে তিনি ফের ক্ষুদ্ধ হন। বারাকপুর আসনের সংসদ সদস্য থাকলেও দল তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে মনোনয়ন দেয় রাজ্যের সেচমন্ত্রী তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে। এরপর অর্জুন সিং ঘোষণা দেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে লড়বেন পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে। বিজেপি লুফে নেয় অর্জুনের প্রস্তাব।

অর্জুন সিং জোরের সঙ্গেই বলেছেন, বারাকপুরের হাজারো মানুষ তাঁর সঙ্গে আছেন। বারাকপুর আসনের তৃণমূল প্রার্থী মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও বলেছেন, তিনি অর্জুন সিংয়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন।  

এর আগে এ মাসের ৪ তারিখ তৃণমূলের বিধায়ক তাপস রায়ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ৭ মার্চ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।