বিজেপির অন্য সদস্যরাও রাহুলের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন। এ সময় পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন কংগ্রেস সদস্যরা। হট্টগোলের একপর্যায়ে অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়। দুপুরের পর অধিবেশন শুরু হলে আবারও পীযূষ গয়াল ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি তোলেন।
কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজ সকালে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় উত্থাপন করেছি। একজন জ্যেষ্ঠ কংগ্রেস নেতা বিদেশে গিয়ে বলেছেন, ভারতে গণতন্ত্র হুমকির মুখে। তিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এর গণতন্ত্র নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এ ধরনের ব্যক্তির পার্লামেন্টে নিন্দিত হওয়া উচিত।’
পীযূষ গয়াল বলেন, ‘একজন ভারতীয় নেতা যিনি লোকসভার সদস্য, তিনি বিদেশে গিয়ে দেশের বদনাম করছেন। তাঁকে অবশ্যই ভারতের পার্লামেন্ট, জনগণ, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম, সশস্ত্র বাহিনী, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। যতক্ষণ না তিনি ক্ষমা চাচ্ছেন, দেশ তাঁকে ক্ষমা করবে না।’
এ সময় পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্য আগের দুটি বিধির কথা উল্লেখ করেন খাড়গে। বিধি দুটি অনুযায়ী, পার্লামেন্টের এক কক্ষের সদস্যরা অন্য কক্ষের সদস্যদের বিরুদ্ধে এভাবে অভিযোগ আনতে পারেন না। খাড়গে বলেন, ‘তিনি (গয়াল) যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা এক্সপাঞ্জ করতে হবে। এটাই বিধি, আপনাকে এটা মানতে হবে।’
কিন্তু এরপরও রাহুলের বক্তব্য নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলতে থাকে। এ সময় উভয় পক্ষের সদস্যরা স্লোগান দিতে থাকলে হট্টগোল শুরু হয়। একপর্যায়ে রাজ্যসভা চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়।
অধিবেশন মুলতবির ঘটনায় ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। তিনি বলেন, প্রায় ৪৫ বছর আমি পার্লামেন্টের সদস্য। এই প্রথম দেখলাম, ক্ষমতাসীন দল পার্লামেন্টের কার্যক্রম চলতে দেয়নি।