পাঠশালার সঙ্গে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের চুক্তি বাতিল

বাংলাদেশের পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি বাতিল করেছে ভারতের আহমেদাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন (এনআইডি)। শিক্ষাবিষয়ক আদান–প্রদানের জন্য ২০২৩ সালে হওয়া এই সমঝোতা চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৮ সাল পর্যন্ত। মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন বছর আগেই চুক্তি বাতিল করল এনআইডি।

গতকাল সোমবার এনআইডির পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় অগ্রাধিকারের সর্বোচ্চ স্বার্থে এনআইডি আহমেদাবাদ একটি দৃঢ় অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতীয় অনুভূতি এবং তার নৈতিক কাঠামোর সঙ্গে সংহতি রেখে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন আহমেদাবাদ এবং পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট ঢাকা বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সহযোগী চুক্তি সমাপ্ত করা হচ্ছে।’

এই দুই প্রতিষ্ঠানের কাজের ক্ষেত্র অনেকটা একই রকম। ডিজাইন, অ্যানিমেশন থেকে ফটোগ্রাফি বা চিত্র নির্মাণ অনেক ক্ষেত্রেই তাদের মধ্যে সমঝোতার এবং একসঙ্গে কাজ করার জায়গা রয়েছে। সেই কারণেই ২০২৩ সালে দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

এনআইডির পরিচালক অশোক মণ্ডল ভারতের সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘আমরা দেশের সঙ্গে এবং আমাদের সরকারের পাশে রয়েছি। আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য জাতিই প্রাধান্য পাবে এবং সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনো সরকার (রাজ্য বা কেন্দ্র) থেকেই কোনো রকম নির্দেশ দেওয়া হয়নি।’

ওই প্রতিষ্ঠানের আরেক কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, চুক্তি সই হলেও প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে গত দুই বছরে যৌথভাবে কোনো প্রকল্প করা হয়নি। অতীতেও চুক্তি হয়েছে; কিন্তু কোনো প্রকল্প হয়নি।

তবে এ ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে কূটনীতির ভাষায় ‘পিপল টু পিপল কন্টাক্ট’ বা মানুষে মানুষে আদান-প্রদানের ক্ষেত্র আরও সংকুচিত হবে। বেসামরিক ক্ষেত্রে, যেমন শিক্ষা বা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়বে।

আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকারী সাবেক এক ভারতীয় কূটনীতিবিদ প্রথম আলোকে বলেন, যত দূর মনে হচ্ছে, আপাতত দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিম্নগামী হবে।