২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

অর্থ ছাড়ের দাবিতে এবার রাজ্যপালের বাসভবন ঘেরাও তৃণমূলের

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ১০০ দিনের কাজের অর্থ ছাড় দেওয়ার দাবিতে রাজভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে মিছিল নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। ৫ অক্টোবর
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজধানী দিল্লিতে গিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ দিনের কাজের অর্থ এবং রাজ্যের গরিব মানুষের আবাসন প্রকল্পের অর্থ বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিল। গিয়েছিল দিল্লির কৃষি ভবনে। সেখান থেকে দিল্লি পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হলেও পরে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়।

সরকারের ওই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতারা আজ বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাজ্যপালের দপ্তর ও বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দেন। দাবি তোলেন, অবিলম্বে ১০০ দিনের কাজের ও আবাস যোজনার অর্থ কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্য সরকারের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। এই অর্থ আদায়ে প্রয়োজনে আন্দোলন গড়ে তুলবে তৃণমূল।

আজ বেলা তিনটার দিকে এই দাবিতে কলকাতার রবীন্দ্র সদন থেকে রাজভবন ঘেরাওয়ের ডাক দেয় তৃণমূল। হাজারো তৃণমূল নেতা-কর্মী, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য রাজভবনের কাছে তৈরি তৃণমূলের অবস্থান মঞ্চে যোগ দেন। এ সময় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ রাজভবনে ছিলেন না। তিনি উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে সেখানে ছিলেন।

পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতির মামলার দ্রুত তদন্ত ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সল্টলেকে ইডি কার্যালয়ের সামনে সিপিএমের বিক্ষোভ। ৫ অক্টোবর
ছবি: প্রথম আলো

রাজভবনের সামনে তৈরি অবস্থান মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বন্ধ করা ১০০ দিনের কাজের টাকা অবিলম্বে দেওয়ার দাবি তোলেন। বলেন, আবাসন প্রকল্পের টাকাও অবিলম্বে দিতে হবে।

অন্যদিকে আজ সিপিএম ইডির তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে দুপুরে কলকাতার সল্টলেকে ইডির দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করে। তারা বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি ও দ্রুত তদন্ত শেষ করার দাবি জানায়। বিক্ষোভে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু প্রমুখ অংশ নেন।