বিহারে গরুর মাংস রাখার দায়ে গণপিটুনিতে মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৩

গণপিটুনি
প্রতীকী ছবি

ভারতের বিহার রাজ্যে গরুর মাংস বহন করছেন, এমন অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হন একজন মুসলিম। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি। তাঁর নাম নাসিম কুরেশি (৫৬)। গত সপ্তাহে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পূর্ব বিহারের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিহারের রসুলপুর পুলিশ স্টেশনের প্রধান কর্মকর্তা রামচন্দ্র তিউয়ারি এসব কথা জানান।

পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রায় ২০ জন লোক ঘিরে ধরেছিলেন নাসিম কুরেশিকে। তারপরই শুরু হয় মারধর। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।

গরুর মাংস বহনের দায়ে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা ভারতে নতুন নয়। এর আগেও গরু জবাই কিংবা গরুর মাংস বহন করার কারণে এমন নৃশংসতার মুখে পড়তে হয়েছে অনেককে।

নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হন। এরপরই কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদীরা আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। সনাতন ধর্মালম্বীদের কাছে গরু অতি পবিত্র। দীর্ঘদিন ধরে একদল কট্টরপন্থী হিন্দু গরু জবাইয়ের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়ে আসছে। এরপরই দেশটির কিছু অঞ্চলে গরুর মাংস কেনা ও বিক্রি করা নিষিদ্ধ করে স্থানীয় অনেক প্রশাসন। বিহারে এখন ক্ষমতায় আছে ভারতীয় জনতা পার্টির। দলটি এখন বিজেপি বিরোধী একটি রাজনৈতিক দল।