বাল্যবিবাহ ঠেকাতে আসামে অভিযান, আটক দুই হাজারের বেশি

বাল্যবিবাহ
প্রতীকী ছবি

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ভারতের আসাম রাজ্যে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত এই রাজ্যে দুই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে অন্তত ৫০ জন কাজি ও ইমাম রয়েছেন। 

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, ২০২৬ সালে আসামে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনের আগে পর্যন্ত বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সক্রিয় অবস্থান অব্যাহত রাখবে রাজ্য সরকার। চলবে ধরপাকড়। 

গত বৃহস্পতিবার থেকে আসামজুড়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে পুলিশ ও প্রশাসনের বিশেষ অভিযান চলছে। রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোয় অপ্রাপ্তবয়স্কের বিয়ে পড়ানোর অপরাধে কাজী ও ইমামদের আটক করেছে পুলিশ। অনেক জায়গায় ধরপাকড়ের প্রতিবাদে স্থানীয় থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। 

রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার পর্যন্ত আসামে মোট ২ হাজার ২৫৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১২৬ জনকে রোববার আদালতে তোলা হয়। ১১১ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি ১৫ জনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

আসামের ধুবড়ি জেলার বাসিন্দা জোবায়দা নিজের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। রোববার টেলিফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। তাই বয়স হওয়ার আগেই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিয়েছি। ভালো পাত্র পেলে অনেক পরিবার এই কাজ করে। এজন্য আমার মেয়ের স্বামী কিংবা আমাদের পরিবারের সদস্যদের আটক করা হয়, তাহলে তো আমাদের বেঁচে থাকাই মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে।’ 

অভিযানের বিষয়ে আসাম কংগ্রেসের নেতা গৌরব গগৈ বলেন, ‘এই অভিযান একটি প্রহসন মাত্র। এক যুগের পুরাতন অভিযোগ সামনে এনে খোঁজখবর না নিয়েই গণগ্রেপ্তার করছে পুলিশ। বর্তমান রাজ্য সরকারের, বিশেষত মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা বাড়াতে এই কাজ করা হচ্ছে।’