বিশ্বভারতী থেকে অমর্ত্যের বাড়ি উচ্ছেদের বিষয়ে শুনানি আজ

শান্তিনিকেতনে বাসভবন প্রতীচীতে অমর্ত্য সেন
ছবি: প্রথম আলো

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেনের শান্তি নিকেতনের ‘প্রতীচী’ বাসভবন থেকে উচ্ছেদের বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য চূড়ান্ত দিন ধার্য করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আজ স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় শুনানি হওয়ার কথা। অমর্ত্য সেন বিদেশে থাকায় ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে না পারায় অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী তিন মাসের সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।

পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, অমর্ত্য সেন অবৈধভাবে তাদের জমি দখল করে রেখেছেন।

অমর্ত্য সেনের অনুপস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার যাতে তাঁর বাড়ি ও জমি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া না হয়, সেই দাবি জানিয়ে আইনজীবী গোরাচাঁদ বোলপুর মহকুমা শাসকের কাছে একটি আবেদন করে বলেন, ‘অমর্ত্য সেন দেশে না ফেরা পর্যন্ত যেন তাঁর ইজারা নেওয়া জায়গা ও ‘প্রতীচী’ যেন সুরক্ষিত রাখা হয়।

বোলপুরের মহকুমা শাসক অয়ন নাথ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অমর্ত্য সেনের আবেদন পেয়েছি। পুলিশের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।’

শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অমর্ত্য সেনের বাসভবনে ১৩ ডেসিমেল জায়গা অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ করছে কর্তৃপক্ষ। তবে অমর্ত্য সেন দাবি করেছেন, ওই জমি তাঁর বাবার আমলের। ১৯৪৩ সালে তাঁর বাবা আশুতোষ সেনকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই জমি ইজারা দিয়েছিল। সেই জমি তাঁর নামে বীরভূমের বোলপুরের ভূমি দপ্তর থেকে মিউটেশনও করা হয়েছে। সুতরাং অবৈধ দখলের প্রশ্ন নেই।

অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ বলেন, কোনো জমি বেআইনিভাবে দখল করেননি অমর্ত্য সেন। ওই জমির কিছু অংশ ইজারা নেওয়া, কিছু অংশ নিজেদের কেনা। সুতরাং এই জমি থেকে উচ্ছেদের কোনো প্রশ্ন নেই।

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আগেই নোটিশ পাঠিয়ে বলেছিল, ওই জমি নিয়ে আজ ১৩ এপ্রিল বিকেল ৪টায় শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।