পশ্চিমবঙ্গে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেই দিল্লি যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীছবি: এএনআই

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার বকসিরহাটে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢুকেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরু হয়েছে।

বকসিরহাটে একটি সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য দিয়ে এই প্রতিবেদন লেখার সময় কোচবিহারে গণসংযোগ শুরু করছেন রাহুল। কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে দিল্লি ফিরে যাবেন রাহুল।

তবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরবঙ্গ কংগ্রেসের একটি সূত্র প্রথম আলোকে বলেন, ২৮ জানুয়ারি আবার উত্তরবঙ্গে ফিরে আসবেন রাহুল। শুরু হবে তাঁর দুই দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফর। তবে এই সফরে দক্ষিণবঙ্গে এবং কলকাতায় ঢুকবেন না রাহুল। পুরো পদযাত্রাই তিনি সারবেন উত্তরবঙ্গে।

২৮-২৯ জানুয়ারি জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর ও দার্জিলিং—এই চার জেলা সফর করে রাহুল গান্ধী ঢুকবেন পাশের রাজ্য বিহারে। সেখানে তাঁর সঙ্গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

নীতীশ কুমারের দল জনতা দল (ইউনাইটেড), লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও কংগ্রেসের মধ্যে বিহারের ৪০টি আসন সমঝোতা হওয়ার কথা। সেই প্রক্রিয়া এত দিন না এগোনোয় নীতীশ কুমার অসন্তুষ্ট বলে তাঁর দলীয় নেতৃত্ব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন

আজ বৃহস্পতিবার বকসিরহাটে রাহুল গান্ধী দেড় মিনিটের ভাষণে তাঁর আসাম যাত্রা সফল করার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ দেন। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে ধন্যবাদ দিয়ে আবারও বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে (আরএসএস) উগ্র জাতপাতের রাজনীতি ও সহিংসতার জন্য দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের যাবতীয় সমস্যা ও বিভেদ সত্ত্বেও এক হয়ে এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে।’

গতকাল বুধবার পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনো আসন সমঝোতা করবে না।

কংগ্রেসের ওই সূত্র প্রথম আলোকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা স্থগিত রেখে রাহুলের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কারণ হচ্ছে, তিনি সেখান থেকে টেলিফোনে মমতার সঙ্গে আরও একবার কথা বলতে চাইছেন। তবে ২৮ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গে তাঁর পদযাত্রা হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন