ভারত জোড়ো যাত্রার পরে কী, আলোচনায় নেতারা

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী
ছবি: এএনআই

ভারত জোড়ো যাত্রার সাফল্যের রেশ কীভাবে রাজ্যে রাজ্যে নাগরিক সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তা নিয়ে সোমবার দিনভর আলোচনা হলো। নয়াদিল্লিতে সেই আলোচনায় অংশ নিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নাগরিক সমাজ। ঠিক হয়েছে, আগামী নির্বাচনে আরএসএস-বিজেপির মোকাবিলায় তৃণমূল স্তরে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে। লক্ষ্য একটাই, দেশকে সর্বনাশের হাত থেকে রক্ষা।

সেই লক্ষ্যে কংগ্রেস কী করতে চাইছে, কীভাবে এগোতে চাইছে, কী কী কর্মসূচি গ্রহণ করছে, রাহুল গান্ধী ও দিগ্বিজয় সিংয়ের উপস্থিতিতে তা নাগরিক সমাজকে জানানো হয়। কংগ্রেসের পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচি ‘হাত সে হাত জোড়ো’ যাত্রা। ভিডিও মারফত সেই কর্মসূচির ঝলকও সম্মেলনে দেখানো হয়। মোটামুটিভাবে সোমবারের সম্মেলন থেকে যা বেরিয়ে আসছে তার সারমর্ম, যারা যেভাবেই এগোন, ভোটের সময় একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। লক্ষ্য একটাই, বিজেপিকে হারানো।

কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত কংগ্রেসের পদযাত্রার নাম ছিল ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। প্রায় পাঁচ মাসের সেই যাত্রায় বহু রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, নাগরিক সমাজ অংশ নিয়েছিল। কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর তারা এখন মনে করছে, ওই যাত্রা অত্যন্ত সফল। সাফল্যের সেই রেশ থাকতে থাকতে নতুনভাবে তৃণমূল স্তরে শুরু করতে হবে নতুন অভিযান, যার মূল লক্ষ্য বিজেপি-আরএসএসের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা। সেই লক্ষ্যে সোমবারের এই সম্মেলনের নাম দেওয়া হয় ‘ভারত জোড়ো অভিযান’। সংসদ ভবন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ‘কনস্টিটিউশন ক্লাবে’ আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআই, সিপিআই (এমএল), আরজেডি, আরএলডিসহ অনেকেই যোগ দেয়। উপস্থিত ছিলেন যোগেন্দ্র যাদবসহ স্বরাজ ইন্ডিয়ার কর্তারাও। প্রধানত স্বরাজ ইন্ডিয়ার উদ্যোগেই নতুন এক কর্মসূচি নিয়ে প্রকাশ্যে মতবিনিময় চলছে।

আরও পড়ুন

উদ্যোক্তাদের একজন প্রথম আলোকে বলেন, সবার সঙ্গে কথা বলে এক কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। সময় নষ্ট না করে নাগরিক সমাজ ও বিজেপির বিরুদ্ধশক্তিরা একজোট হয়ে বিভিন্ন রাজ্যে জনসমর্থন গড়ে তুলবে। ওই কর্তা বলেন, ‘বিচ্ছিন্নভাবে লড়াই করলে বিজেপির মতো দলকে হারানো সম্ভবপর নয়। ভারত জোড়ো যাত্রা দেশ জোড়ার যে কর্মসূচি নিয়েছে, নাগরিক সমাজ একত্র হয়ে সেই কাজই করবে। সেই সঙ্গে মানুষকে বোঝাবে, একতা নষ্ট করে বিজেপি কীভাবে দেশকে বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে নিয়েছে।’

যেভাবে রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ করেছিলেন, সোমবারেও ঠিক সেইভাবে এই সম্মেলনে যোগ দেন। রাহুল চুল-দাড়ি কাটেননি। সাদা টি-শার্টও খোলেননি।

আরও পড়ুন