গত মে মাস থেকে চলা সহিংসতায় মণিপুরে অসংখ্য মানুষ মারা গেছেন
ফাইল ছবি: এএনআই

ভারতের মণিপুর রাজ্যে আবারও সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে। কাংপোকপি জেলায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কুকি-জোমি সম্প্রদায়ের তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাংপোকপি জেলার কাংগুই এলাকার ইরেং ও করম ভাইফেই গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় ওই তিন ব্যক্তিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কাংপোকপি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থলু রকি সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি গাড়ি থেকে কুকি সমাজের তিনজনকে নামিয়ে সশস্ত্র দুষ্কৃতকারীরা গুলি করে হত্যা করেছে। কোনো বন্দুকযুদ্ধ হয়নি বলে মনে হচ্ছে। দোষীদের ধরতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন

মণিপুরের সহিংসতা কাছাকাছি আনছে কুকি ও নাগাদের

স্থানীয় প্রশাসন জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ ও আসাম রাইফেলসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তাঁরা ওই এলাকা ঘিরে তল্লাশি চালান।

ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী নেতাদের ফোরাম (আইটিএলএফ) মৃতদের শনাক্ত করেছে। তাঁরা কোন অঞ্চলের বাসিন্দা, তা নিশ্চিত করেছে। অপর একটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ঐক্য কমিটি জানিয়েছে, যারা হামলা চালিয়েছিল, তারা নিরাপত্তা বাহিনীর পোশাকে ছিল। কিছুদিন আগে কেন্দ্রের গোয়েন্দা এজেন্সিগুলো মণিপুরের রাজ্য প্রশাসনকে জানিয়েছিল, নিরাপত্তা বাহিনীর পোশাকে দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালাতে পারে।

এই নিয়ে গত দুই সপ্তাহে মণিপুরে অন্তত ১৪ জন নিহত হলেন। গত ৩ মে থেকে মণিপুরে মেইতেই এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক প্রাণহানি হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। চার মাসের বেশি সময় ধরেই রাজ্যটিতে সহিংসতা চলছে। এখনো প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ৫ থেকে ১০ জন মারা যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন

মণিপুর: ভারত কি সহিংসতার দেশ

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুরে এই সংঘাত থামাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন বলে বারবার অভিযোগ করছে ভারত ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সংঘাতের কারণ এবং সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি।