ফোন কেড়ে নিলেন মা–বাবা, পাবজি গেম খেলতে না পেরে ছাত্রের আত্মহত্যা

গেম খেলারপ্রতীকী ছবি

ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের নির্মল জেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার দশম শ্রেণির এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। কারণ, মা–বাবা তার কাছ থেকে মুঠোফোন কেড়ে নিয়েছিলেন। ওই মুঠোফোনে ছাত্রটি জনপ্রিয় অনলাইন গেম ‘পাবজি’ খেলত।

সরকারি কর্মকর্তারা জানান, ওই স্কুলছাত্রের নাম বেটি রিশেন্দ্র। সে দিনে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় পাবজি গেম খেলত। এমনকি মাঝেমধ্যে সে স্কুলেও যেতে চাইত না। কারণ, পড়াশোনার কারণে নাকি পাবজি খেলার সময় পেত না।

ওই ছাত্রের মা–বাবা জানান, তাঁকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য মনোবিদ ও স্নায়ু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবু তার জেদ কমেনি। এমনকি চিকিৎসককেও হুমকি দিয়েছিল।

শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে তিন দিন আগে মা–বাবা সন্তানের কাছ থেকে মুঠোফোন কেড়ে নেন। গেম ছাড়া মানিয়ে নিতে না পেরে রিশেন্দ্র গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।

সম্প্রতি পাবজি গেমে আসক্তির আরও অনেক ঘটনা সামনে এসেছে।

চলতি বছরের শুরুতে বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলায় রেললাইনের ওপর বসে পাবজি খেলতে গিয়ে তিন কিশোর ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায়। কানে হেডফোন থাকায় ট্রেনটি কাছাকাছি এলেও তারা টের পায়নি।

আরেক ঘটনায় হায়দরাবাদে এক ট্যাক্সিচালকের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, গাড়ি চালানোর সময় তিনি মুঠোফোনে পাবজি খেলছেন। পেছনের আসনে বসা এক যাত্রী ভিডিওটি ধারণ করেছিলেন।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, চালক এক হাতে গাড়ি চালাচ্ছেন, অন্য হাতে ফোন ধরে গেম খেলছেন। কখনো আবার দুই হাতে গেম খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। ফলে রাস্তার দিকে মনোযোগ রাখতে কষ্ট হচ্ছিল তাঁর।