ভারতে ১০ দিনের মাথায় সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের ছবিতে দেখা গেল

ভারতের উত্তরাখন্ডে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে কাজ চলছে। ২০ অক্টোবর
ছবি: এএনআই

ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে সুড়ঙ্গ ধসের ১০ দিনের মাথায় আটকে পড়া শ্রমিকদের ছবিতে দেখা গেল। জানা গেল, তাঁরা সবাই মোটামুটি সুস্থ আছেন। তাঁরা সবাই একে একে ক্যামেরার সামনে আসছেন। কারও কারও হাতে দেখা যাচ্ছে আপেল।

উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা আটকে পড়া শ্রমিকদের প্রত্যেককে অভয় দিয়ে বলছেন, ‘মনোবল অটুট রাখুন। খুব শিগগির আপনাদের সবাইকে উদ্ধার করা হবে।’

গতকাল সোমবার ভূমিধসের মধ্য দিয়ে ৬ ইঞ্চির ১টি পাইপ ৬০ মিটার দূরত্বে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পাঠানো হয়। সেই পাইপ দিয়ে কাচের বোতলে ভরে গরম খিঁচুড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। সঙ্গে পাঠানো হয় নানা ধরনের ফল ও পানির বোতল। বাড়তি পাঠানো হয়েছিল একটা এন্ডোস্কোপিক ফ্লেক্সি ক্যামেরা। আজ মঙ্গলবার সকালে তাতেই ধরা পড়ে আটক শ্রমিকদের ছবি।

ভিডিওতে দেখা যায়, নির্মাণশ্রমিকদের জন্য জরুরি হলুদ রঙের হেলমেট অধিকাংশের মাথায় রয়েছে। শুকনা মুখে ৪১ জনই একটা জায়গায় বসে বা দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের প্রত্যেককে একে একে ক্যামেরার সামনে আসতে বলা হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা তাঁদের সঙ্গে ওয়াকিটকি মারফত কথা বলছেন। সরকারের পক্ষ থেকে সেই ভিডিও গণমাধ্যমে প্রকাশও করা হয়।

সবাই শারীরিকভাবে মোটামুটি সুস্থ আছেন বলে সরকার দাবি করেছে। উদ্ধারকারীরা তাঁদের মনোবল অটুট রাখতে বলে জানিয়েছেন, শিগগিরই তাঁদের প্রত্যেককে নিরাপদে বের করে আনা হবে। এই ছবি ও ভিডিও আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবারের জন্য অবশ্যই স্বস্তিদায়ক।

উত্তরাখন্ডের উত্তরকাশী জেলায় নির্মাণাধীন ওই সুড়ঙ্গে ১০ দিন আগে ধস নামে। তাতে আটকা পড়েন ৪১ শ্রমিক। সেই থেকে দিন রাত কাজ চলছে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে শ্রমিকদের বের করে আনার। এই কাজে দেশি প্রযুক্তিবিদদের পাশাপাশি সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বিদেশিদেরও। সুড়ঙ্গের মধ্যে অক্সিজেনের সরবরাহ ব্যাহত হয়নি। সেটা সুলক্ষণ।

শ্রমিকদের কাছে খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ শুরু হয় ঘটনার দিন কয়েক পর। গতকাল ছয় ইঞ্চির পাইপ পৌঁছে দেওয়ার পর উদ্ধারকারী দল এখন যথেষ্ট আশাবাদী। বিভিন্ন দিক থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে, সুড়ঙ্গের মধ্যে বড় পাইপ ঢোকানোর, যাতে শ্রমিকেরা হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেন।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুড়ঙ্গমুখ থেকে ধসের জায়গার দূরত্ব ৬০ মিটার। গতকাল রাত পর্যন্ত ২৪ মিটার পর্যন্ত পাইপ নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। সরকারের আশা, শ্রমিকদের উদ্ধার করতে আরও তিন চার দিন সময় লাগবে।