ভারতের লোকসভা ভোটের তফসিল ঘোষণা আগামীকাল

ভারতের লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে আগামীকাল শনিবার। ওই দিন বেলা তিনটার সময় নির্বাচন কমিশন (ইসি) লোকসভার পাশাপাশি চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের তফসিলও প্রকাশ করবে। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা করা হয়।

লোকসভার ভোটের সঙ্গেই অন্ধ্র প্রদেশ, ওডিশা, অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিম রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হওয়ার কথা। এই রাজ্যগুলোর নাম অবশ্য ইসির ঘোষণায় বলা হয়নি। তারা শুধু জানিয়েছে, লোকসভার সঙ্গে ‘কয়েকটি’ বিধানসভারও ভোট হবে।

নির্বাচন তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যাবে আদর্শ আচরণবিধি। এর ফলে কোনো সরকার নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে না। কোনো নতুন প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না। এমন কিছু করতে পারবে না, যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করে। এই সময় দেশের সবকিছুই হয়ে পড়ে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন।

এবার কত দফার নির্বাচন হয়, সেই জল্পনা শুরু হয়েছে। ২০১৪ সালে হয়েছিল ৯ দফা ভোট। ২০১৯-এ ৭ দফার।

নির্বাচনের প্রাক্কালে এবার অন্যতম নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল পদত্যাগ করেন। গত ফেব্রুয়ারিতে অবসর নিয়েছিলেন দ্বিতীয় কমিশনার অনুপ চন্দ্র পান্ডে। ফলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার একা হয়ে গিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার নির্বাচিত কমিটির বৈঠক ডেকে নতুন দুই ইসিকে নিযুক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিরোধী নেতা অধীর চৌধুরীর বৈঠকে মনোনীত হন দুই সাবেক আমলা সুখবীর সিং সান্ধু ও জ্ঞানেশ কুমার। অধীর চৌধুরী যদিও বৈঠকে তাঁর অসন্তোষ নথিভুক্ত করেন।

এবারই প্রথম নতুন আইনে ইসির সদস্যরা মনোনীত হলেন। এত দিন ধরে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী নেতা ও দেশের প্রধান বিচারপতি এই নিযুক্তির দায়িত্বে ছিলেন। নতুন আইনে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সে জায়গায় আনা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার শীর্ষ কোনো সদস্যকে। এর বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। আবেদনকারীদের আরজি, ওই নিযুক্তির মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত ইসির নিযুক্তিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। সেই আরজি সুপ্রিম কোর্ট আজ শুক্রবার নাকচ করে দেন। তবে মামলা শুনতে বিচারপতিরা রাজি হয়েছেন। আগামী বৃহস্পতিবার সেই শুনানি।