পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট একাধিক দফায় চায় বিরোধীরা

কলকাতা হাইকোর্ট
প্রথম আলো ফাইল ছবি

পশ্চিমবঙ্গে আগামী জুলাাই মাসে অনুষ্ঠেয় পঞ্চায়েত নির্বাচন একাধিক দফায় করার দাবি তুলেছে বিরোধী দলগুলো। গত সপ্তাহে বিরোধী দলের নেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী একাধিক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন করার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আর গতকাল সোমবার সেই একই দাবি নিয়ে আবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙরের আইএসএফ বা ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। মামলাটির শুনানির জন্য আদালতে উঠতে পারে আগামী শুক্রবার।

পশ্চিমবঙ্গের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামী ৮ জুলাই একদিনে। এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে কলকাতা হাইকোর্ট ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহনী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠেছে, এক দফায় নির্বাচন হলে কীভাবে একই দিন ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে? একই দিন মিলবে কি এই বিপুলসংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য?  

আইএসএফের আইনজীবী ফিরদৌস শামীম বলেছেন, ২০১৩ সালের মডেলে নির্বাচন করতে হলে প্রয়োজন হবে আড়াই হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর। এই অবস্থায় রাজ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে গেলে এক দফায় নয়, কয়েক দফায় ভোট গ্রহণ করা জরুরি।

বিরোধীরা একাধিক দফায় ভোটের দাবি করছেন মূলত গত নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে। ২০১৮ সালের সর্বশেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনও হয়েছিল এক দফায় ১৪ মে। ওই নির্বাচনের আগেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নিয়েছিল ৩৪ শতাংশ আসন। নির্বাচন হয়েছিল ৬৬ শতাংশ আসনে। তবে তৃণমূলের সহিংসতায় বিরোধীরা দাঁড়াতেই পারেনি ওই সময়।

এবারও তৃণমূল বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দিয়েছে। তবে অনেক স্থানে বিরোধীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এবার এই রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬৩ হাজার ২৮৩, পঞ্চায়েত সমিতির ৯ হাজার ৪৯৮ ও জেলা পরিষদের ৯২৮ আসনে নির্বাচন হচ্ছে।