এসসিও জোটের সাংস্কৃতিক ও পর্যটন রাজধানী ভারতের বারানসি

ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বারানসি শহর
ছবি: রয়টার্স

ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসি শহরকে পর্যটন ও সাংস্কৃতিক রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়েছে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)। উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠিত জোটের শীর্ষ সম্মেলনে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারানসি আসন থেকে নির্বাচিত আইনপ্রণেতা।

দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলন শেষে গতকাল শুক্রবার আট দেশের এই জোটের পক্ষ থেকে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হয়। সেখানে বারানসিকে এ স্বীকৃতির কথা বলা হয়েছে। এসসিওর সদস্যদেশগুলো, বিশেষ করে মধ্য এশিয়ার সঙ্গে ভারতের প্রাচীনসভ্যতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কথা ঘোষণাপত্রে স্থান পেয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ শনিবার জানায়, এসসিও এই প্রথম কোনো শহরকে পর্যটন ও সাংস্কৃতিক রাজধানীর স্বীকৃতি দিল। এ বিবেচনায় বারানসির এ মনোনয়ন অভূতপূর্ব। এ স্বীকৃতির ফলে এসসিওর সদস্যদেশগুলোর মধ্যে পর্যটন, সংস্কৃতি ও মানবিক আদান-প্রদান বৃদ্ধি পাবে। মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বাড়বে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এ স্বীকৃতির ফলে ২০২২-২৩ সালে বারানসিতে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেসব অনুষ্ঠানে এসসিও সদস্যদেশের অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এ ধরনের অনুষ্ঠানে ভারতের ইতিহাস, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্প ও ঐতিহ্য নিয়ে অধ্যয়নরতদের পাশাপাশি লেখক, গবেষক, শিল্পী, সংগীত বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক, লেখক, ব্লগারসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

২০২১ সালে তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে অনুষ্ঠিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে ঠিক করা হয়েছিল এ বছর সদস্যদেশগুলোর মধ্য থেকে কোনো একটি শহরকে সাংস্কৃতিক ও পর্যটন রাজধানীর মর্যাদা দেওয়া হবে। সেই নিরিখে বারানসির এ মনোনয়ন। সদস্যদেশগুলোর মধ্যে পর্যটক বাড়াতে ২০২৩ সালকে ‘পর্যটনবর্ষ’ হিসেবে উদ্‌যাপন করা হবে।