ক্ষয়ক্ষতি লড়াইয়ের অংশ: ভারতের বিমানবাহিনী

‘অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২১’–এ অংশ নেওয়া ভারতের বিমানবাহিনীর হাতে থাকা ফ্রান্সের তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান। ভারতের বেঙ্গালুরুর ইয়েলাহাঙ্কা বিমানঘাঁটিতে, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ে বাহিনী ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে ভারতের বিমানবাহিনী বলেছে, ‘ক্ষয়ক্ষতি লড়াইয়ের অংশ’। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলেনি। একই সঙ্গে ভারতীয় বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ের পর ভারতের সব বৈমানিক ঘরে ফিরেছেন।

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের বিমানবাহিনীর একজন মুখপাত্র প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে (৭ মে) পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় পাকিস্তান। পাকিস্তান সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

পাকিস্তান দাবি করে, তাঁরা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফাল। বুধবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে একই দাবি করেন। কিন্তু নিজেদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি ইসলামাবাদ। অন্যদিকে রোববারের আগপর্যন্ত নিজেদের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়া নিয়ে ভারতও কোনো মন্তব্য করেনি।

বুধবার ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের চারটি সরকারি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, অঞ্চলটিতে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তারা এই কথা জানানোর কয়েক ঘণ্টা আগেই ভারত জানিয়েছিল, তারা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের নয়টি ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ নিশানা করে হামলা চালিয়েছে।

ভারত জানিয়েছিল, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের হামলার মেয়াদ ছিল ২৫ মিনিট। স্থানীয় সময় ১টা ৫ মিনিটে হামলা শুরু হয়, শেষ হয় ১টা ৩০ মিনিটে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত অল্প সময়ে একাধিক যুদ্ধবিমান হারানো ভারতের জন্য বিশাল ক্ষতি।

বৃহস্পতিবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতের অন্তত দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। এই দুই বিমানের অন্তত একটি রাফাল। যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা বলেছেন। এ ঘটনা চীনের তৈরি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন