তৃণমূলে ভাঙন, বিধায়ক পদ ছাড়লেন তাপস রায়

তৃণমূল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগকারী তাপস রায়ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় অঘটন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতিতে। আজ সোমবার দুপুরে বিধানসভার স্পিকারের হাতে তৃণমূলের বিধায়ক পদের ইস্তফাপত্র তুলে দিয়ে পদ ছাড়লেন তাপস রায়। দুপুরে তিনি সরাসরি চলে আসেন রাজ্য বিধানসভা ভবনে। সেখানে তিনি পদত্যাগপত্র তুলে দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।

তাপস রায় ছিলেন কলকাতার বরাহনগর বিধানসভা আসনের তৃণমূলের বিধায়ক। ২০১১ সাল থেকে তিনি এই পদে ছিলেন। ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্রও। ১৩ বছর এই পদে থেকে অবশেষে আজ দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিলেন। যদিও আজ সকালে তৃণমূলের দুই নেতা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ তাপস রায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন; তবে তাতে বরফ গলেনি।

তাপস রায় আজ সকালে তাঁর বাসভবনে সাংবাদিকদের বলেন, তৃণমূল সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি, বিশেষ করে সন্দেশখালীর ঘটনা এবং সন্দেশখালীর তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ভূমিকা তাঁকে আহত করেছে।

এর পাশাপাশি গত ১২ জানুয়ারি নিজের বাসভবনে ইডির তল্লাশি তাপস রায়কে বেশি আহত করেছে। ৫২ দিন আগের এই ঘটনার পর দল তাঁর পাশে এসে দাঁড়ায়নি; বরং সন্দেশখালীর তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর পক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় কথা বলেছেন।

এরপরই তাপস রায় সিদ্ধান্ত নেন আর তৃণমূল নয়। তিনি বলেন, ‘দলে আমি অবহেলিত হয়েছি, অপমানিত হয়েছি, বিধ্বস্ত হয়েছি। ভাবতে পারছি না কীভাবে একটি শাসক দল ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়তে পারে?’

এদিকে রাজনৈতিক মহলের খবর, তাপস রায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে উত্তর কলকাতার সংসদীয় আসনে লড়তে পারেন। এ আসনের বর্তমান সাংসদ রয়েছেন তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি সূত্রও বলেছে, তাপস রায় বিজেপিতে আসছেন। ফলে আসন্ন লোকসভার নির্বাচনকে ঘিরে এই প্রথম তৃণমূলে ভাঙন শুরু হলো।