ক্রিপ্টোকারেন্সিতে চা দোকানে দাম শোধ

ভারতের বেঙ্গালুরুতে শুভাম সাইনির সেই চায়ের দোকান
ছবি: টুইটার থেকে

চা–দোকানে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা! শুনতে অবাক লাগলেও ভারতের একটি চায়ের দোকানে রাখা হয়েছে এমন ব্যবস্থা।

ভারতের বেঙ্গালুরুতে এ চায়ের দোকান দিয়েছেন শুভাম সাইনি। তাঁর চায়ের দোকানের নাম ‘ফ্রাস্ট্রেটেড ড্রপআউট’।

ঠিকই ধরেছেন, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন সাইনি। কিন্তু শেষ করতে পারেননি। পরে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে এই চায়ের দোকান দেন তিনি।

দোকানটির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে প্রকাশ করেছেন সাইনি। এতে দেখা যায়, চায়ের দোকানে নুডলস, পাস্তাও আছে। আর দোকানের ব্যানারে লেখা আছে, ‘চলো, চা পান করি।’ ওই ব্যানারে আরও লেখা হয়েছে, ‘আমরা পরিবেশবান্ধব চা তৈরি করি এবং মাটির পাত্রে সেই চা পরিবেশন করি।’ এর পাশেই লেখা হয়েছে, ‘এখানে ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণ করা হয়।’ পাশে বিটকয়েনের একটি প্রতীক দেওয়া।

ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা। কাগুজে মুদ্রার বিপরীতে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ওপর কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেই।

যা হোক, বেঙ্গালুরুর ওই চায়ের দোকানে ভারতের অ্যাপভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা ইউপিআইয়ের মাধ্যমেও অর্থ পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। প্রতি কাপ চায়ের দাম ২০ রুপি। আর মার্কিন ডলারের হিসাবে শূন্য দশমিক ২৬ ডলার।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কেন ব্যবহার করেন, সাইনি তারও একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে। তিনি বলেন, তিনি দেড় লাখ রুপি ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগ করেছিলেন। এর কিছুদিন পর সেই ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য বেড়ে হয় ৩০ লাখ রুপি।

সাইনির এ চায়ের দোকান নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকেই সাইনির দোকানের ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকে আবার বিভিন্ন প্রশ্নও তুলছেন।

এসবের আরেকটি কারণ অবশ্য রয়েছে। চায়ের দোকানের ওই ব্যানারে সাইনি লিখে রেখেছেন, তিনি এ দোকান চালান, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উপহাস করতে পছন্দ করেন।