অক্সফোর্ডে মমতার বক্তৃতা বাতিল

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ফাইল ছবি

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিতর্ক অনুষ্ঠান প্রচার করতে চেয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে তা বাতিল হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি। এর পেছনে বিজেপি কলকাঠি নেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের হস্তক্ষেপকে এর জন্য দায়ী করেছে।

বুধবার বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানটি প্রচারের কথা ছিল। এর আগে অবশ্য মমতার বক্তৃতা রেকর্ড করার কথা ছিল। ১ ডিসেম্বরের মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন পাঠাতেও বলা হয়েছিল। রেকর্ডিংয়ের আধঘণ্টা আগে অক্সফোর্ড ইউনিয়ন অনুষ্ঠানটি স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন মমতা। অনুষ্ঠানটি বাতিল হওয়ার পর তিনি বলেন, দিল্লি থেকে বিজেপি সরকার কলকাঠি নেড়েছে।

মমতার এই বিতর্ক বক্তৃতা প্রচার হলে তা হতো ভারতের কোনো নারী মুখ্যমন্ত্রীর অক্সফোর্ড ইউনিয়ন আয়োজিত বিতর্কে প্রথম অংশগ্রহণের ঘটনা।

মমতা গতকাল বৃহস্পতিবার রাজ্য সচিবালয় নবান্নে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারাই খুঁজে বের করুন, এই বক্তৃতা বাতিলের কারণ।’ এর আগে মমতার শিকাগো সফর, চীন সফর বাতিল হয়েছিল। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে মমতার বক্তৃতার কর্মসূচিও বাতিল হয়েছিল। এর পেছনে রাজনৈতিক কারণকেই দায়ী করেন তিনি।

মমতা বলেন, ‘ঝড় যখন আসে তখন আকাশে চিল ওড়ে। সেই চিল দেখেই বোঝা যায় ঝড় আসছে। কিন্তু ঝড় থেমে গেলে সেই চিল আকাশ থেকে নেমে এসে বাসা খোঁজে। তাই বলছি, এই বাংলার মাটিতেই একদিন প্রণাম করতে আসতে হবে। আগামী দিনে আমার কাছে চিল এসে বাসা খুঁজবে। বাংলা কারও কাছে এত সহজে হার মানে না। সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের ধারা বাংলার মাটিতে রক্ষা করার ক্ষমতা আমার কাছে আছে। এ কথা যেন মাথায় রাখা হয়।’

অক্সফোর্ডের এই অনুষ্ঠানটি কবে ফের আয়োজন করা হতে পারে, সেই প্রশ্নের জবাব এখনো মেলেনি। অক্সফোর্ড ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট বিয়েট্রিস বার বৃহস্পতিবার তাঁর দায়িত্বের মেয়াদ পূর্ণ করেছেন। শুক্রবার নতুন প্রেসিডেন্টের হাতে তাঁর দায়িত্বভার তুলে দেবেন। পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুষ্ঠানের নতুন সময়সূচি প্রণয়ন করতে বলবেন।

এ ঘটনার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মমতাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘তাঁকে নাকি অক্সফোর্ডে ভাষণ দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। এখন সেটা বাতিল হয়ে গেছে। কে যে ওনার ভাষণ শুনবেন বলে ডেকেছিলেন জানি না। কলকাতাতেই ওনার ভাষণ শোনার লোক জোটে না। অক্সফোর্ডে কে শুনবেন?’