অটোরিকশার মাথায় পুরো বাড়ি

অটোরিকশার ওপরে এভাবেই তৈরি করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ বাড়ি
ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

গাড়িটি একটি সাধারণ অটোরিকশা। ভারতীয় উপমহাদেশে সাধারণত যেমনটা দেখা যায়। কিন্তু হলুদ রঙের ওই অটোরিকশাটিকেই অসামান্য করে তুলেছেন একজন প্রকৌশলী। ওই ছোট্ট অটোরিকশার ওপর ছোটখাটো একটা বাড়িই বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। আর তা নিয়েই হইচই শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এই বিশেষ অটোরিকশার ছবি টুইটারে শেয়ার করেছেন ভারতের মাহিন্দ্র গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনন্দ মাহিন্দ্র। ওই ছবিতে দেখা গেছে একটি ছোট হলুদ রঙের অটোরিকশার ওপরে তৈরি হয়েছে বাড়িসদৃশ অবকাঠামো। আনন্দ মাহিন্দ্র টুইটার পোস্টে লিখেছেন, এই বিশেষ অটোরিকশা নকশা করার মধ্য দিয়ে ছোট জায়গাকেও কীভাবে কার্যকর উপায়ে ব্যবহার করা যায়, তা প্রমাণিত হয়েছে।

জানা গেছে, এই বিশেষ অটোরিকশাটির নকশা করেছেন চেন্নাইভিত্তিক প্রকৌশলী অরুণ প্রভু এনজি। অটোরিকশার ওপর তৈরি এই ভ্রাম্যমাণ বাসস্থানের নাম তিনি দিয়েছেন ‘সলো ওয়ান’। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ভারতীয় রুপি।

এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করে আনন্দ মাহিন্দ্র লিখেছেন, ‘অরুণ এ কাজের মধ্য দিয়ে কম জায়গাকেও কীভাবে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, তার এক নিদর্শন সৃষ্টি করেছেন।

একে আরও বড় পরিসের নিয়ে যাওয়া সম্ভব। ভ্রাম্যমাণ বাসস্থান নির্মাণের বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে।’ শুধু এটুকু বলেই ক্ষান্ত হননি এই ব্যবসায়ী। অরুণের সঙ্গে যোগাযোগ করারও ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি। আনন্দ বলেছেন, ‘তিনি একটি বোলেরো পিকআপের ওপর এমন ভ্রাম্যমাণ বাড়ি নির্মাণ করতে পারবেন কি না, তা আমি জানতে আগ্রহী।’

মাহিন্দ্র গ্রুপের চেয়ারম্যানের এই টুইটার পোস্টটি এরই মধ্যে বেশ আলোচিত হয়েছে। হাজার হাজার ব্যবহারকারী এতে মন্তব্য করেছেন। ‘লাইক’ পড়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি।

এর আগেও ভ্রাম্যমাণ বাড়ি নির্মাণের কাজ করেছিলেন অরুণ প্রভু। চেন্নাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডিটি নেক্সট জানিয়েছে, বস্তি এলাকায় কম জায়গায় ভ্রাম্যমাণ বাড়ি তৈরি করেছিলেন তিনি। বর্তমান প্রয়াস সম্পর্কে অরুণ বলেছেন, ‘সলো ওয়ান একটি প্রোটোটাইপ। ভারতে অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ বাসস্থানের ধারণাকে আবিষ্কার করতেই আমি এ কাজটি করেছি। সাধারণত সবাই ছোট আকারের স্থাপত্য নিয়ে কাজ করতে চায় না। আমি এদিকটায় নজর দিতে চেয়েছি।’