আমি গ্রেপ্তার, আর মন্ত্রীর ছেলে ঘুরে বেড়াচ্ছে: প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
ভারতের উত্তর প্রদেশে মন্ত্রীপুত্রের গাড়িচাপায় নিহত আট বিক্ষোভকারীর স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আজ সোমবার লাখিমপুর খেরিতে যাচ্ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। যাওয়ার পথে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ‘আপনারা যদি আমাকে আটক করতে পারেন, তাহলে অভিযুক্ত মন্ত্রীপুত্রকে কেন নয়?’
ভারতের উত্তর প্রদেশের লাখিমপুর খেরিতে গতকাল রোববার সহিংস ঘটনায় চার কৃষকসহ আটজন নিহত হন। লাখিমপুর খেরিতে দুই মন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে এ সহিংস ঘটনা ঘটে। সেখানে বিক্ষোভরত কৃষকদের গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রের ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার করা হয়নি তাঁকে।
গাড়িচাপায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে আজ সোমবার লাখিমপুর খেরের উদ্দেশে রওনা হন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আর পথেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, ‘ভবিষ্যতে অপরাধ করতে পারেন’ এমন ধারণার ভিত্তিতে ১৫১ ধারায় তাঁকে আটক করা হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘তাঁরা আমাকে গ্রেপ্তারের কোনো কাগজপত্র দেখায়নি। তারা যদি আমাকে কাগজপত্র না দেখাতে পারে, তবে একে আমি অপহরণ বলতে পারি। ১৫১ ধারার আওতায় তারা যদি আমাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত না করে, তাহলে আমি মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারি। আইনজীবী ঠিক করার অধিকার আমার আছে বলা হলেও এখন পর্যন্ত আইনজীবীর সঙ্গে আমাকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি।’
এখনো মন্ত্রীপুত্রকে গ্রেপ্তার না করায় ক্ষোভ জানান প্রিয়াঙ্কা। উত্তর প্রদেশে ‘পুরোপুরিভাবে গণতান্ত্রিক ও আইনগত প্রক্রিয়ায় ধস নেমেছে’ বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
এখন কোথা থেকে কথা বলছেন, তা জানতে চাওয়া হলে এনডিটিভিকে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমি এখন সীতাপুরে আছি বলে মনে হচ্ছে, তবে নিশ্চিত নই। আমি লক্ষ্ণৌর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর পুলিশ কর্মকর্তারা আমার গাড়ি এগোতে দেয়নি। আমি তখন গাড়ি থেকে নেমে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিই। অন্য একজনের গাড়িতে উঠি। তারা বিভিন্ন টোল আদায়ের রাস্তায় আমাদের থামানোর চেষ্টা করেছে। এরপর আমরা তাদের দৃষ্টির আড়ালে চলে যাই। কয়েকটি গ্রামের ভেতর দিয়ে আমরা গাড়ি নিয়ে এগোচ্ছিলাম।
শেষ পর্যন্ত তারা আমাদের খুঁজে পায় এবং সীতাপুর ও লাখিমপুর পয়েন্টের মাঝামাঝি জায়গায় থামিয়ে দেয়।’