উত্তর প্রদেশে মাস্ক না পরলে দ্বিতীয়বার ১০ হাজার রুপি জরিমানা

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ
ছবি: এএনআই

করোনার রেকর্ড সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর নীতি নিয়েছে ভারতের উত্তর প্রদেশ সরকার। সাধারণ মানুষকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে বলেছে রাজ্য সরকার। মাস্ক ছাড়া কেউ বাইরে এলে প্রথমবার ১ হাজার এবং দ্বিতীয়বার ১০ হাজার রুপি জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এ নির্দেশ দিয়েছেন।


এদিকে ভারতে ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এক দিনের হিসাবে এটাই দেশটিতে সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা।
আজ শুক্রবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশে কেউ মাস্ক না পরে বাইরে এসে ধরা পড়লে প্রথমবার এক হাজার রুপি জরিমানা গুনতে হবে। একই অপরাধে পরবর্তী সময়ে ধরা পড়লে জরিমানার পরিমাণ ১০ হাজার রুপি নির্ধারণ করেছে আদিত্যনাথ সরকার।


এ ছাড়াও ভারতের জনবহুল এ রাজ্যে ছুটির দিন বা রোববারে জনসমাগম এড়াতে কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে উত্তর প্রদেশে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। রাজ্য সরকার আরও জানিয়েছে, করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত উত্তর প্রদেশের সব স্কুল বন্ধ থাকবে। রাজ্যটিতে বোর্ড পরীক্ষাও আপাতত নেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন


ভারতের যে ১০টি রাজ্যে করোনার সংক্রমণ রেকর্ড ছাড়িয়েছে, তার মধ্যে উত্তর প্রদেশ একটি। রাজ্যটিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এক দিনে ২২ হাজার ৪৩৯ জনের নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১০৪ জন। গত বছর মহামারি শুরুর পর এটাই উত্তর প্রদেশে এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ নিজেও।


বৃহস্পতিবার এক টুইটে লক্ষ্ণৌ, মিরাট, বারানসি, প্রয়াগরাজ, গাজিয়াবাদসহ উত্তর প্রদেশের ১০টি জেলায় রাত্রিকালীন কারফিউ জারির ঘোষণা দিয়েছেন আদিত্যনাথ। সংক্রমণ এড়াতে প্রতিদিন রাত আটটা থেকে পরদিন সকাল সাতটা পর্যন্ত রাজ্যের এ ১০ জেলায় কারফিউ চলবে।

আরও পড়ুন


এনডিটিভি ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গত ৯ দিনের মধ্যে ৮ দিনই সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে ভারতে। এর মধ্যে শেষ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে। এই ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১ হাজার ১৮৫ জন। সব মিলিয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ ৯১ হাজার ৯১৭ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩০৮ জন।