উত্তাল সমুদ্র, পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীরা ফিরে আসছেন খালি হাতে

পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ফিরে আসা ট্রলার
ছবি: প্রথম আলো

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সমুদ্রে মাছ না ধরে ফিরে আসছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীরা। রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীরা এই তথ্য জানিয়েছেন।

সমুদ্রে ২ মাস ইলিশ ধরা বন্ধ থাকার পর ১৪ জুন পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। এরপর ওই রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা, কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, রায়দিঘি, কুলতলী, পাথর প্রতিমা, সাগরদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, বকখালী, ফলতা, হরিরামপুর, সীতারামপুর, নৈনান থেকে সমুদ্রে ইলিশ ধরার জন্য পাড়ি জমায় অন্তত আড়াই হাজার ট্রলার। এ ছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনার সমুদ্র উপকূল এলাকার কয়েক শ মৎস্যজীবী ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে যান। কিন্তু বুধবার রাতে সমুদ্রের আবহাওয়া বৈরী হয়ে উঠলে মৎস্যজীবীরা ফিরে আসতে বাধ্য হন।

এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের ফিশারম্যান ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, মৎস্যজীবীরা আশা নিয়ে সমুদ্রে গিয়েছিলেন ইলিশ ধরতে। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীরা ফিরে এসেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে এলে মৎস্যজীবীরা ফের মাছ ধরতে সমুদ্রে যাবেন।

বিজন মাইতি বলেন, ট্রলারে করে যাওয়া মৎস্যজীবীরা কয়েক দিনের খাবার, জ্বালানি তেল, বরফ নিয়ে সমুদ্রে যান। কিন্তু মাছ ধরতে না পারলে প্রতিটি ট্রলারের এক লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়। মৎস্যজীবীরা এখন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কেটে যাওয়ার অপেক্ষা করছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘার পাশে শঙ্করপুর বন্দরে ৩০০ কেজি ইলিশ এসেছিল। সেই ইলিশের নিলামও হয়েছিল ওই বন্দরে। সেখানে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৩৫০ রুপিতে। আর ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ রুপি এবং ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয় ৫০০ থেকে ৬০০ রুপিতে। এ ছাড়া গতকাল ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্র পাইকারি বাজারে ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৫০০ রুপি কেজি দরে। আর ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ রুপিতে।