কংগ্রেসকে ছাড়াই বিরোধী জোট গঠনে তৎপর মমতা

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ফাইল ছবি: রয়টার্স

কংগ্রেসকে বাদ রেখেই আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে বিরোধী জোট গঠনে তৎপর হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসব দলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস। এ লক্ষ্যে মমতা নিজে যাচ্ছেন, নয়তো দলের নেতাদের পাঠাচ্ছেন বিভিন্ন রাজ্যে। এসব আঞ্চলিক দল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিবিরোধী হিসেবে পরিচিত।

মমতার লক্ষ্য ত্রিপুরা, গোয়া, মেঘালয়, হরিয়ানা, বিহার, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি ও মহারাষ্ট্রের আঞ্চলিক দলগুলো। অন্য রাজ্যের আঞ্চলিক দলগুলোকেও বিরোধী জোট গঠনে উৎসাহিত করছেন মমতা। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে দূরে রেখেছেন। কংগ্রেসকে ছাড়াই মোদিবিরোধী জোট গঠন করতে চাইছেন তিনি।

মমতার এমন তৎপরতা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ, এখনো ভারতের প্রধান বিরোধী শক্তি কংগ্রেস। ভারতের পার্লামেন্টে আসনসংখ্যার দিক থেকেও কংগ্রেসের অবস্থান দ্বিতীয়, ৫২টি আসন রয়েছে তাদের। ২৫ আসন নিয়ে তৃতীয় স্থানে তামিলনাড়ুর ডিএমকে। যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে তৃণমূল কংগ্রেস ও তেলেঙ্গানার ওয়াইএসআর কংগ্রেস।

ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার আসনসংখ্যা ৫৪৩। লোকসভায় ২২টি আসন রয়েছে মমতার তৃণমূল কংগ্রেসের। আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে জোট গড়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে মমতা মহারাষ্ট্রের শাসক দল শিবসেনাসহ অন্যদের সঙ্গে মোদিবিরোধী জোট গড়া নিয়ে কথা বলেছেন।

শিবসেনা বলেছে, কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী জোট সম্ভব নয়। কংগ্রেসকে দূরে সরিয়ে রাখলে ফ্যাসিস্ট বিজেপির হাতকে শক্তিশালী করা হবে। একই কথা বলেছেন এনসিপি নেতা নবাব মালিকও। এরপরও মুম্বাই সফরে কংগ্রেসের নেতৃত্বে গড়া ইউপিএ বা সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চাকে অস্তিত্বহীন বলে মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কার্যত দেখা গেছে, এখনো কংগ্রেসের দিকে পাল্লা ভারী। সম্প্রতি ভারতের রাজ্যসভায় ১২ জন সাংসদকে বহিষ্কার করার পর সংসদ ভবনের সামনে এর বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিল শিবসেনা, এনসিপি, ডিএমকেসহ ভারতের ১৬টি রাজনৈতিক দল।

একই দিন তৃণমূলের বিক্ষোভে যোগ দেয় মাত্র দুটি দল—উত্তর প্রদেশের বহুজন সমাজ পার্টি ও দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি। রাজ্যসভা ও লোকসভায় আসনসংখ্যার দিক থেকে কংগ্রেসের চেয়ে অনেক পিছিয়ে মমতার তৃণমূল। শক্তি ও সমর্থনের দিক থেকে এখনো ভারতে দ্বিতীয় স্থানটি কংগ্রেসের।