কংগ্রেসের বেহাল দশায় তাঁরাই যেন বিরোধী নেতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পিনারাই বিজয়ন, এম কে স্টালিন
ছবি: সংগৃহীত

ভারতে জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেসের অবস্থা বিবর্ণ। এ অবস্থায় দেশটির কিছু আঞ্চলিক দলই যেন সত্যিকারের বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আজ সোমবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়।

গতকাল রোববার ঘোষিত ভারতের পাঁচ বিধানসভার নির্বাচনের ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। কয়েক দফার ভোট শেষে গতকাল ভারতের পাঁচ বিধানসভার নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়।

ফলাফল অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় বসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ২১৩ আসন। বিজেপি ৭৭ আসন। বাম ১ আসন। রাজ্যে সরকার গঠনে দরকার ১৪৮।

ফলাফল অনুযায়ী, কেরালা বামদের হাতেই থাকছে। রাজ্যে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (মার্ক্সিস্ট) নেতৃত্বাধীন এলডিএফ জোট ১৪০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৯৯টিতে জয় পেয়েছে। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট ৪১ আসনে জয় পেয়েছে। কেরালায় বিজেপি কোনো আসন পায়নি।

তামিলনাড়ুতে প্রয়াত জয়ললিতার দল ক্ষমতাসীন এআইএডিএমকের বিরুদ্ধে বড় জয় পেয়েছে বিরোধী দল দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাজাগাম (ডিএমকে)। তামিলনাড়ুর ২৩৪টি আসনের মধ্যে এম কে স্টালিনের দল ডিএমকের নেতৃত্বাধীন জোট ১৫৯টি আসনে জয় পেয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল এআইএডিএমকের নেতৃত্বাধীন জোট ৭৫টি আসনে জয় পেয়েছে। এ জোটে বিজেপিও রয়েছে।

আসাম ধরে রেখেছে বিজেপি। সেখানে বিজেপি পেয়েছে ৭৫ আসন। কংগ্রেস ৫০ আসন। এজেপি ১ আসন। সরকার গঠনে দরকার ৬৪ আসন।

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পদুচেরির বিধানসভায় এত দিন সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল কংগ্রেস ও ডিএমকে জোট। এবার এখানে বিজেপি জোট ক্ষমতায় আসছে। পদুচেরির ৩৩ আসনের বিধানসভায় ভোট হয় ৩০টি আসনে। তিনটি আসন সংরক্ষিত। ৩০ আসনের মধ্যে ১৬টিতে জিতেছে বিজেপির এআইএনআরসি জোট। কংগ্রেস ও ডিএমকে জোট জয় পেয়েছে ৯ আসনে। আগেরবারের তুলনায় এ জোটের আসন কমেছে আটটি।

পশ্চিমবঙ্গে এবার জয় পেতে মরিয়া ছিল বিজেপি। সেখানে তারা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিল। তারপরও পশ্চিমবঙ্গে মমতার দল বিপুল জয় পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠন নিয়ে এবার বিজেপির আশার সমাধি রচিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এক মমতার কাছে হেরেছে পুরো বিজেপি।

কেরালার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও রাজ্যে তাঁর আধিপত্য ধরে রেখেছেন। তাঁর হাত ধরেই এলডিএফ টানা দুই মেয়াদে রাজ্যে সরকার গড়তে যাচ্ছে।

অন্যদিকে তামিলনাড়ুতে চমক দেখিয়েছেন এম কে স্টালিন। তামিলনাড়ুর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী করুনানিধির সন্তান ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার তিনি। এখন আঞ্চলিক শক্তির এক নতুন ‘মুখ’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন তিনি।