কলকাতা বইমেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু

২০১৯ সালের কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন
প্রথম আলো ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে কয়েক দফায় তারিখ পরিবর্তন করেও গত বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে এবার ঐতিহ্যবাহী এ বইমেলা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে এখন করোনার সংক্রমণ ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসায় রাজ্য সরকার এ বছরের বইমেলা আয়োজন করার অনুমতি দিয়েছে।

গতকাল সোমবার কলকাতা বইমেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড ও কলকাতার চিকিৎসকদের একটি সংগঠন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকের পর ওই দিন সন্ধ্যায় পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের পক্ষ থেকে এবার বইমেলা হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

গিল্ড বলেছে, কলকাতায় করোনা সংক্রমণের নিম্নমুখী হার বিবেচনা করে রাজ্য সরকার কলকাতা বইমেলার অনুমতি দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকাতার সল্ট লেকের সেন্ট্রাল পার্কে ৩১ জানুয়ারির পরিবর্তে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বইমেলা শুরু হবে। তবে বইমেলা কত দিন চলবে, এ নিয়ে সোমবার পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
এর আগের ঘোষণায় বলা হয়েছিল, কলকাতা বইমেলা শুরু হবে ৩১ জানুয়ারি। শেষ হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু করোনার সংক্রমণ ও ১২ ফেব্রুয়ারি সল্ট লেক পৌরসভার নির্বাচনের কারণে বইমেলার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দে আজ প্রথম আলোকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলা হবে। গত বছরের বইমেলার থিম কান্ট্রি ছিল বাংলাদেশ। করোনার কারণে গত বছরের বইমেলার আয়োজন করা সম্ভব না হওয়ায় এ বছরের বইমেলার থিম কান্ট্রি বাংলাদেশই থাকছে।

গত বছর ছিল বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ। একই সঙ্গে উদ্‌যাপিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। সেই লক্ষ্যে এবারের বইমেলায় বাংলাদেশকে নিয়ে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ বছরের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করা হবে।

এ ছাড়া নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬তম জন্মবার্ষিকী এবং প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষকে ঘিরেও নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে।
সর্বশেষ ২০২০ সালের কলকাতা বইমেলায় শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবনের আদলে তৈরি প্যাভিলিয়নে ঠাঁই পেয়েছিল বাংলাদেশের ৪১টি প্রকাশনা সংস্থা।