কাশ্মীর সফরে বাংলাদেশসহ বিদেশি কূটনীতিকেরা

জম্মু-কাশ্মীরে পৌঁছানোর পর মুসলমানদের স্থানীয় একটি মাজার পরিদর্শন করেন বিদেশি কূটনীতিকেরা। এ সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় কর্মকর্তারা। আজ বুধবার শ্রীনগরে।
ছবি: রয়টার্স

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে সেখানে গেছেন একদল বিদেশি কূটনীতিক। ভারত সরকারের উদ্যোগে দুই দিনের সফরে আজ বুধবার শ্রীনগরে পৌঁছান বাংলাদেশসহ ২৪ দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জেলা উন্নয়ন পর্ষদের (ডিডিসি) নির্বাচনের পর পরিস্থিতি কেমন, তা খতিয়ে দেখবেন বিদেশি অতিথিরা।

গত দেড় বছরে বিদেশি কূটনীতিকদের এটি তৃতীয় দফার সফর। এই সফরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বেলজিয়াম, স্পেন, ইতালি, সুইডেন, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, ব্রাজিলসহ ২৪ দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গেছেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহম্মদ ইমরানও। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এই দলে রয়েছে একমাত্র বাংলাদেশ।

এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ উড়োজাহাজে করে আজ সকালে শ্রীনগর বিমানবন্দরে নামার পর বিভিন্ন বিষয়ে কূটনীতিকদের অবহিত করা হয়। যেমন অভিযোগ দূর করতে সরকারিভাবে কী করা হয়, কেমনভাবে তা করা হয়, পঞ্চায়েতি রাজব্যবস্থা কেমন এবং পরিস্থিতির উন্নতি কীভাবে হচ্ছে ইত্যাদি। প্রতিনিধিদের বাদগাম জেলাতেও নিয়ে যাওয়া হয়। কোনো কোনো কূটনীতিক স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার কূটনীতিকেরা যাবেন জম্মুতে। সেখানে ডিডিসি সদস্য ও স্থানীয় কিছু সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মিলিত হবেন। নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তাঁরা। ফোর-জি ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হওয়ার পর এটাই বিদেশিদের প্রথম সফর।

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের দ্বিখণ্ডীকরণ ও বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর প্রথম বিদেশি কূটনীতিকদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় সেই বছরের অক্টোবরে। সেই সফরে স্থান পেয়েছিলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ২৩ জন সদস্য, যাঁদের মধ্যে অতি দক্ষিণপন্থীদের আধিক্য ছিল। দ্বিতীয় দফার সফর ছিল ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ১৫ দেশের কূটনীতিককে। সেই প্রতিনিধিদলেও বাংলাদেশ ছিল।