'প্রেম-পর্যটনে' সেরা কাশ্মীর

টিউলিপ ফুলের বাগানের জন্য বিখ্যাত কাশ্মীর। ছবি: সংগৃহীত
টিউলিপ ফুলের বাগানের জন্য বিখ্যাত কাশ্মীর। ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরকে প্রকৃতির ভূস্বর্গ বলা হয়। কেউ কেউ আবার ‘প্রেম-পর্যটন’ ও ‘রোমান্সের’ শহরও বলেন। টিউলিপ ফুল আর নৌকায় ডাল লেকে ভ্রমণের তীর্থস্থান কাশ্মীর তারই স্বীকৃতি পেয়েছে।
বিশ্বের একটি শীর্ষস্থানীয় ভ্রমণবিষয়ক ম্যাগাজিন কাশ্মীরকে ভারতের সেরা রোমান্টিক স্থানের মর্যাদা দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য অস্থিরতা থাকলেও পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য অন্যতম সেরা জায়গা কাশ্মীর। পর্যটকেরা এখানে না এসে নাকি থাকতে পারেন না। শুধু একবার নয়, বারবার সেখানে যান তাঁরা।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, লোনলিপ্ল্যানেট নামের একটি ভ্রমণবিষয়ক ম্যাগাজিন বিশ্বের রোমান্টিক জায়গার একটি তালিকা করেছে। ১৯৭২ সাল থেকে প্রকাশিত এই ম্যাগাজিনের করা তালিকায় সারা বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা রোমান্টিক স্থান হয়েছে কাশ্মীর। শীর্ষে অপরূপ সুইজারল্যান্ড।
কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকেরা জানান, কাশ্মীরের বাতাসে রয়েছে রোমান্টিকতার আবহ। তাই বারবার এখানে তাঁরা ফিরে আসেন। কাশ্মীরের অস্থিরতাও দমাতে পারেনি পর্যটকদের। এখানে প্রতিদিন গড়ে চার হাজার পর্যটক ভ্রমণে আসেন। শিখারা নৌকায় শ্রীনগরের ডাল লেকে জুটি কিংবা ভ্রমণপিপাসুদের ভ্রমণ রোমান্টিকতার এক অপূর্ব প্রতিচ্ছবি।
ভারতের সরকার পর্যটকদের জন্য কাশ্মীরকে নিরাপদ, ভ্রমণবিলাসী ও আরামদায়ক করতে দীর্ঘদিন ধরেই নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কাশ্মীর গেলে শ্রীনগরের ডাল লেকে নৌকায় ভ্রমণ রোমান্টিকতার এক অপূর্ব প্রতিচ্ছবি হিসেবে ধরা হয়। ছবি: সংগৃহীত
কাশ্মীর গেলে শ্রীনগরের ডাল লেকে নৌকায় ভ্রমণ রোমান্টিকতার এক অপূর্ব প্রতিচ্ছবি হিসেবে ধরা হয়। ছবি: সংগৃহীত

মুম্বাইয়ে বাড়ি জয়েশ ডাগার। কাশ্মীরে পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘আমরা ১৯৯৯ সালে প্রথম এখানে আসি। ১৭ বছর পর আবারও এসেছি। এবার সন্তানদেরও এনেছি। এটি সত্যিই একটি অসাধারণ জায়গা! এর চেয়ে ভালো জায়গা আপনি আর কোথায় পাবেন না।’
কাশ্মীর উপত্যকায় নিয়মিত সিনেমার শুটিং হয়। এবার শীর্ষ রোমান্টিক স্থানের তকমা পাওয়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অস্থিরতা কমবে বলে আশা করতে পারেন পর্যটকেরা।