কাশ্মীরের মর্যাদা ফেরাতে সর্বদলীয় জোট গঠিত

ফারুখ আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি
রয়টার্স ও এএফপি ফাইল ছবি

জম্মু-কাশ্মীরের রাজনীতি নতুন প্রবাহে বইতে শুরু করল। পিডিপির নেত্রী সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির মুক্তির তিন দিনের মাথায় কাশ্মীরের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রবীণ সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা এই নতুন জোটের কথা জানিয়ে বলেন, ‘এই জোটের নাম পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকর ডিক্লারেশন। আমরা চাই ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের আগে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের অবস্থান ফিরিয়ে আনতে। সে জন্য আমাদের সংগ্রাম চলবে। সেই লড়াই সাংবিধানিক।’

জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট। সৃষ্টি হয়েছিল দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। খারিজ হয়েছিল সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ, যা জম্মু-কাশ্মীরকে দিয়েছিল বিশেষ মর্যাদা। তার আগের দিন ৪ আগস্ট, শ্রীনগরের গুপকর রোডে ফারুক আবদুল্লার বাসভবনে ছয় দলের নেতারা মিলিত হয়ে গুপকর ঘোষণাপত্রে সই করেছিলেন। তাতে ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও ৩৫(ক) ধারা রক্ষার কথা বলা হয়েছিল।

ফারুক আবদুল্লা ও তাঁর পুত্র সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা গত বুধবার মেহবুবার বাড়ি গিয়ে তাঁকে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করেন। সেই অনুযায়ী গতকাল বিকেলে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা স্থির করতে ফারুক আবদুল্লার বাসভবনে মিলিত হন মেহবুবা, পিপলস কনফারেন্সের সাজ্জাদ লোন, পিপলস মুভমেন্ট নেতা জাভেদ মীর, সিপিএম নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামিরা। সবার সম্মতিতে জোটবদ্ধতার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন ফারুক আবদুল্লা। তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সবার সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন।

রাজ্য বিজেপির পক্ষে এই জোটের বিরোধিতা করা হয়েছে। তাঁরা এই জোটকে ‘দেশবিরোধীদের জোটবদ্ধতা’ বলে অভিহিত করেছেন।