টাইমের প্রভাবশালীর তালিকায় শাহিনবাগের ‘দাদি’

বিলকিস

ভারতে সম্প্রতি যে আন্দোলনগুলো বড় আকার ধারণ করেছিল, তার মধ্যে অন্যতম নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-বিরোধী বিক্ষোভ। ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টে এই আইন পাস হয়। এরপর দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। কিন্তু রাজধানী নয়াদিল্লির শাহিনবাগের বিক্ষোভ সবার দৃষ্টি কেড়েছিল। এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন নারীরা। এই নারীদের মধ্যে বয়স্ক কয়েকজন নারী ছিলেন আলোচনার কেন্দ্র। তেমনি একজন নারী এবার টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন। ৮২ বছর বয়সী এই নারীর নাম বিলকিস।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, প্রভাবশালীর তালিকায় ‘আইকন’ ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছেন বিলকিস। ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, টাইম-এর ২০২০ সালের প্রভাবশালীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন শাহিনবাগের এই ‘দাদি’।

১১ ডিসেম্বর সিএএ পাস হওয়ার আগে থেকে ভারতে বিক্ষোভ চলছিল। সেগুলোও এই নাগরিকত্বসংক্রান্ত। যার একটি জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)। কিন্তু সিএএ পাসের পর ১৪ ডিসেম্বর থেকে শাহিনবাগে টানা বিক্ষোভ শুরু হয়, যা চলে ১০১ দিন। এই আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন বিলকিস। টাইম ম্যাগাজিনে তাঁর প্রোফাইল লিখেছেন ভারতীয় লেখক রানা আইয়ুব। তিনি লিখেছেন, এই আন্দোলনের সময় অধিকারকর্মী, শিক্ষার্থীদের আশা জুগিয়েছেন, তাঁদের সাহস দিয়েছেন বিলকিস।

চলতি বছরের শুরুতে শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ চলাকালে বিলকিসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রানা আইয়ুব। তখন বিলকিস বলেছিলেন, ‘শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত আমি এখানে থাকব।’ তিনি জানিয়েছিলেন, ন্যায়বিচার, সমতা এবং ভারতের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন তিনি। আইয়ুব বলেন, ভারতের পিছিয়ে পড়া মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন এই নারী।

গত জানুয়ারিতে এই বিক্ষোভ নিয়ে আল-জাজিরাকে তিনি বলেছিলেন, সিএএর লক্ষ্য হলো ভারতের মুসলমান এবং তাঁদের ছেলেমেয়েদের আটক শিবিরে পাঠানো।

টাইম-এর প্রভাবশালীর তালিকায় আরও স্থান পেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন, তাঁর রানিংমেট কমলা হ্যারিস।

আরও পড়ুন