দিশা রবির পক্ষে সমর্থন বাড়ছে

পরিবেশবাদী দিশা এ রবির মুক্তির দাবিতে ভারতের কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিল
ছবি: এএনআই

ভারতে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনকারী পরিবেশকর্মী দিশা রবির (২২) পক্ষে সমর্থন বাড়ছে। সেই দলে রয়েছেন বিভিন্ন নেতা ও বলিউডের তারকারা। এদিকে দিশার বিরুদ্ধে আনা দিল্লি পুলিশের অভিযোগনামার প্রতিলিপি এবং তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদনপত্রের কপি ও পরিচ্ছন্ন পোশাক দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির পাটিয়ালা হাউস আদালত। গতকাল মঙ্গলবার আদালত এই নির্দেশ দেন।

আদালতের বিচারক এই নির্দেশও দেন, প্রতিদিন দিশা ৩০ মিনিটের জন্য তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। এ ছাড়া পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন দিনে ১৫ মিনিট করে। গ্রেপ্তারের পর থেকে এই অধিকার তাঁকে দেওয়া হয়নি।

বেঙ্গালুরুর কলেজছাত্রী পরিবেশ আন্দোলনকর্মী দিশা কৃষক আন্দোলনের সমর্থক। আন্তর্জাতিক পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ভারতে চলমান কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে এক টুইটের সঙ্গে আন্দোলনের কর্মসূচি সম্পর্কিত এক ‘টুলকিট’ বা নির্দেশিকা জুড়ে দিয়েছিলেন। দিল্লি পুলিশের অভিযোগ, সেই টুলকিটের সঙ্গে পাঞ্জাবের বিচ্ছিন্নতাবাদী ‘খলিস্তানিদের’ যোগাযোগ রয়েছে এবং সেটি গ্রেটাকে দিয়েছিলেন দিশাই। দেশদ্রোহিতার অভিযোগে দিল্লি পুলিশ গত শনিবার বেঙ্গালুরু থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে রোববার দিল্লি নিয়ে আসে। দিল্লির পাটিয়ালা হাউস আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠায়।

দিশা রবি
ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

এদিকে দিশাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে দিল্লির ‘কমিশন ফর উইমেন’ গতকাল দিল্লি পুলিশকে নোটিশ পাঠিয়েছে। সংবাদমাধ্যম এএনআই–এর খবরে বলা হয়েছে, ওই নোটিশে দিল্লি পুলিশকে দিশার বিরুদ্ধে অভিযোগনামার কপি ও কেন তাঁকে দিল্লি নিয়ে আসার অনুমতি বেঙ্গালুরুর স্থানীয় আদালত থেকে নেওয়া হয়নি, তা জানাতে বলা হয়েছে। যদিও গতকাল দিল্লির পুলিশ কমিশনার বলেন, দিশাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সব পদ্ধতি মেনেই। তিনি বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান।’

দিশার পক্ষে বলিউডেও সমর্থন বাড়ছে। অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর লিখেছেন, ‘আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত।’ এই টুইটের সঙ্গে তিনি দিশার একটি মন্তব্য জুড়ে দিয়েছেন, যা গ্রেপ্তার হওয়ার পর দিশা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি শুধু চেয়েছিলাম কৃষকদের দাবি মানা হোক, যাতে সবাই দুমুঠো খেতে পাই। কৃষকেরাই দেশের ভবিষ্যৎ।’

কংগ্রেস ছেড়ে শিবসেনায় যোগ দেওয়া উর্মিলা মাতন্ডকর টুইট করে জানতে চেয়েছেন, ‘নারীরা রাজনীতিতে এলে রাজনীতি ভয় পায় কেন?’ দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্ধার্থ একাধিক টুইটে লেখেন, ‘গোদি (স্তাবক) মিডিয়ায় তদন্ত হয় না, তদন্ত হয় একটা টুলকিটের! এটাই বাস্তবের পশুখামার! আমরা এক ভয়ংকর সময়ের মধ্যে বাস করছি।’