দ্বৈত রূপান্তরিত ধরনে ভারতে করোনা এত ভয়ংকর!

ভারতে দিন দিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।
রয়টার্স ফাইল ছবি

এ বছরের মার্চ মাসে ভারতে করোনাভাইরাসের দুবার রূপ বদলানো ধরন প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে এ ধরনের সংক্রমণের যোগসূত্র থাকতে পারে। খবর বিবিসির।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের এক কর্মকর্তা বলছেন, তবে এই ধরন ও সংক্রমণের ঢেউয়ের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে তাঁরা পুরোপুরি নিশ্চিত নন। একই ভাইরাস যখন দুবার রূপ বদল করে, তখন তাকে দ্বৈত রূপান্তরিত ভাইরাস বলে।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ভারতে রেকর্ড ৪ লাখ ১২ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হন। একই দিনে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯৮০ জনের।

সরকারের শীর্ষ বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কে বিজয়রাঘবন বলছেন, ভারতে করোনার সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞরা এখনো বুঝতে পারছেন না তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ কতটা ভয়াবহ হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে ওই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী। এ সময় করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটবে। তবে তৃতীয় সংক্রমণের সময়টা কখন, সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা নেই বিশেষজ্ঞদের। তৃতীয় ধাপের সংক্রমণ নিয়ে এখনই প্রস্তুতি থাকা দরকার বলে মনে করেন তিনি।

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালে শয্যা, অক্সিজেন, এমনকি শ্মশানে চিতারও অভাব পড়েছে।

ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে লকডাউন ও কারফিউ জারি করা হয়েছে। তবে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় সরকার জাতীয় পর্যায়ে লকডাউন শিথিল করেছে।

আট রাজ্য থেকে ১৩ হাজারের কাছাকাছি নমুনা সংগ্রহের পর সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি ধরন শনাক্ত হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতে করোনার সংক্রমণের সঙ্গে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের ধরনের যোগাযোগ নেই।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞ সুজিত সিং করোনা নিয়ন্ত্রণে পরীক্ষা, আইসোলেশন বাড়ানো, ভিড় এড়িয়ে চলা ও টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করার ওপর জোর দেন।

ভারতের উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে।