ধর্মনিরপেক্ষ ভারত গড়ার লক্ষ্য মমতার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ফাইল ছবি: এএফপি

নতুন করে ভারতের রাজনীতির মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, এবার তাঁর লক্ষ্য হবে ধর্মনিরপেক্ষ ভারত গড়া। ভারতের জাতীয় স্তরে তৃণমূলের শক্তি বিস্তারের জন্য এবার মমতার কথা, বিজেপি দেশ শাসনে ব্যর্থ, বপন করছে শুধু ধর্মান্ধতার বীজ।

মমতা মনে করছেন, কংগ্রেস রাজনীতিতে ব্যর্থ, ব্যর্থ বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই গড়ে তুলতে। অন্যদিকে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি এখন এমনটা বুঝতে সক্ষম হয়েছে, উপলব্ধি করতে পেরেছে জাতীয় স্তরে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির অভ্যুদয় ঘটাতে এখন ভারতে বিজেপি ও কংগ্রেসের একমাত্র বিকল্প শক্তি তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই লক্ষ্য নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবার মাঠে নেমে পড়ছে নতুন শক্তি সঞ্চার করে। বিশেষ করে এবারের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস উপলব্ধি করতে শুরু করেছে আর বিজেপি-কংগ্রেস নয়; এবার দেশের বিকল্প হচ্ছে তৃণমূলই।

এসব লক্ষ্য নিয়ে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দক্ষিণ কলকাতার বাসভবন কালীঘাট দপ্তরে তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির এক বৈঠকে বসেন। বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল দেশব্যাপী তৃণমূলের বিস্তার ঘটানোর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ। বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির ২১ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বিহারের বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা, মেঘালয়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল সাংমা, হরিয়ানার কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া অশোক তানোয়ার, বিহারের সংযুক্ত জনতা দলের পবন বর্মা, ভারতের সাবেক টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।

এর আগে অবশ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন গোয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো, আসাম কংগ্রেসের সাবেক সাংসদ সুস্মিতা দেবসহ আরও বেশ কজন কংগ্রেস ও বিজেপি নেতা। গতকাল কলকাতায় এসেছেন গোয়ার এনসিপি দলের বিধায়ক আলেমাও চার্চিল। তাঁর আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগদানের কথা রয়েছে।

এই বৈঠকে মমতা জানিয়ে দেন তৃণমূল এখন বড় হচ্ছে। বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে মমতা বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন তৃণমূলকে চাইছে। তাই এখন দেশব্যাপী তৃণমূল কংগ্রেসের বিস্তার ঘটাতে আমাদের উদ্যোগী হতে হবে। রাজ্যে রাজ্যে গঠন করতে হবে তৃণমূল কংগ্রেস।’

ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষে তৃণমূলের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র ও রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের দলের আরও শক্তি বাড়াতে হবে। দেশব্যাপী তৃণমূলের বিস্তার ঘটাতে হবে। দল এখন বড় হচ্ছে। আমরা গ্রোয়িং পার্টি। ২০২৪ সালে গোটা দেশকে পথ দেখাবে তৃণমূল। ওই বছরই হবে দেশের পরবর্তী লোকসভার নির্বাচন। তাই সর্বদলীয় স্তরে তৃণমূলের শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে এখন আমাদের দল তৃণমূলকে মাঠে নেমে পড়তে হবে।’