আসামে মোমেন–জয়শঙ্করের বৈঠক

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আজ শনিবার থেকে শুরু হওয়া দুই দিনের একটি সম্মেলনে আসামের রাজধানী গুয়াহাটি বৈঠক করবেন। এটি সরকারি পর্যায়ের সম্মেলন না হলেও ভারতের একাধিক রাজ্যের সরকারি প্রতিনিধি, মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার ১২টি দেশের সরকারি প্রতিনিধি, রাষ্ট্রদূত বা নীতিনির্ধারকেরা সম্মেলনে যোগ দেবেন।

এ কে আব্দুল মোমেন এবং এস জয়শঙ্কর ছাড়াও দুই দেশের একাধিক নদী ও পানি বিশেষজ্ঞ, কূটনীতিক এবং সরকারি কর্মকর্তারা দুই দিনের এ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সম্মেলনে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনা করবেন পানি নিয়ে। সম্মেলনের নাম ‘নদী’ (ন্যাচারাল আলায়েজ ইন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারডিপেন্ডেনস–এনএডিআই)।

সম্মেলনের আয়োজক এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স নামের একটি সংগঠন। সম্মেলন নিয়ে তাদের ব্যাখ্যা, বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নদীকেন্দ্রিক সহযোগিতা বিভিন্ন স্তরে গড়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য। এ অঞ্চলে, অর্থাৎ হিমালয় পর্বতমালার দক্ষিণে গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্র ও মেকংকে কেন্দ্র করে বিশাল পানিকেন্দ্রিক সভ্যতা। এ অঞ্চলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোই ‘নদী’র লক্ষ্য। অতীতে ‘নদী’ বড় মাপের সম্মেলন করেছে ২০১৬ সালে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে এবং ২০১৭ সালে ঢাকায়।

এ ছাড়া সম্মেলনে অংশ নেবেন বেশ কয়টি দেশের নদী বিশেষজ্ঞ, কূটনীতিক, রাষ্ট্রদূত ও নীতিনির্ধারকেরা। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে জাপান, সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমার।

ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান এবং বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ছাড়াও থাকবেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, আন্তর্জাতিক পানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা।

ভারতে গঙ্গা নদী অনেক রাজ্যের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই রাজ্যগুলোর কোনো সরকারি প্রতিনিধিদের নাম বক্তাদের তালিকায় নেই।