নন্দীগ্রামে ভোটকেন্দ্রে দুই ঘণ্টা আটকে ছিলেন মমতা

বয়াল মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তৃণমূল ভোট দিতে পারছিল না শুনে ভোটকেন্দ্রে ছুটে যান মমতা।
ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণের দিন এক কেন্দ্রে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মমতাকে বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে বের করে আনেন।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের ৪টি জেলার ৩০টি আসনে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিতে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের বয়াল মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তৃণমূল ভোট দিতে পারছিল না। তৃণমূলের এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না—এসব অভিযোগ শুনে ওই ভোটকেন্দ্রে ছুটে যান তৃণমূল নেত্রী এবং নন্দীগ্রাম আসনের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেখানে গিয়ে তিনি এসব বিষয়ে রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং রাজ্যের নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ করেন।

এই সময়ের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে বিজেপি ও তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হয়ে পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ভোটকেন্দ্রের ভেতর আটকা পড়েন মমতা। প্রায় দুই ঘণ্টা পর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্র থেকে মমতাকে কর্ডন করে বের করে আনেন। সেখান থেকে মমতা চলে যান নন্দীগ্রামের তৃণমূল কার্যালয়ে।

এর আগে বয়াল ভোটকেন্দ্রে মমতা অভিযোগ করে বলেন, বিজেপির বহিরাগতরা বয়াল ভোটকেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়েছে। এভাবে এই কেন্দ্রের ৮০ শতাংশ ভোট দেয় বিজেপি। তাঁর কাছে ইতিমধ্যে ৬৩টি অভিযোগ এসেছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, এই কেন্দ্রে ৮০ শতাংশ জাল ভোট বা ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে। তবু এবার এই নন্দীগ্রাম আসনে বিপুল ভোটে তিনি জিতবেন।

আজ বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ৩০টি আসনে ভোট নেওয়া হয়। এই রাজ্যে রয়েছে ২৯৪টি আসন। প্রথম দফায় ২৭ মার্চ ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল ৫টি জেলার ৩০টি আসনে।

আজকের দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ৩০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ১৫২ জন পুরুষ এবং ১৯ জন নারী। আজকের ৩০ কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয় ১০ হাজার ৬২০টি ভোটকেন্দ্রে। সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন ৩৮ জন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। ভোট নির্বিঘ্ন করতে নিয়োগ করা হয় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য। নন্দীগ্রামের ৩৫৫টি ভোটকেন্দ্রকেই অতি স্পর্শকাতর কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রতি ভোটকেন্দ্রে নিয়োগ করা হয় ৮ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যকে। গড়া হয় ২২টি কুইক রেসপন্স টিম। যাঁরা অশান্তির খবর পেলে ছুটে যাবেন ওই এলাকায়।