নির্বাচনী তফসিল ঘোষণায় বিপাকে কংগ্রেস

তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ ও পদুচেরিতে কংগ্রেস তার জোটসঙ্গীদের সঙ্গে এখনো আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করতে পারেনি। এর মধ্যে পাঁচ রাজ্যে ভোটের তফসিল ঘোষণা কংগ্রেসকে অপ্রস্তুত করে দিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, তাঁর ধারণা মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ভোটের দিন ঘোষিত হবে। কংগ্রেসের ধারণাও ছিল তা-ই। কিন্তু গত শুক্রবার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর কংগ্রেসকে এখন তড়িঘড়ি আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে।

তামিলনাড়ু ও পদুচেরিতে ডিএমকের সঙ্গে জোট বেঁধেই কংগ্রেস ভোটে লড়বে। কিন্তু কোন দল কত আসন পাবে ও কোন কোন কেন্দ্রে জোটবদ্ধ হয়ে লড়বে, সেই আলোচনা এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। কংগ্রেস তামিলনাড়ুতে গতবার ৪১ আসনে লড়েছিল। এবার তারা এর চেয়ে বেশি আসন চাইছে। এতে রাজি নয় ডিএমকে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুই দলের আলোচনাও শেষ হয় অসম্পূর্ণভাবে। কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা বলেন, এখন দুই দলকেই দ্রুত বোঝাপড়ায় আসতে হবে। কারণ, আগামী মঙ্গলবার থেকেই প্রথম দফার নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু হবে।

একই সমস্যা পশ্চিমবঙ্গেও। সেই রাজ্যে বামদের সঙ্গে কংগ্রেস জোটবদ্ধ হলেও সমস্যা রয়েছে ফুরফুরা শরিফের আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টকে (আইএসএফ) আসন ছাড়া নিয়ে। বামদের সঙ্গে আইএসএফের সমঝোতা চূড়ান্ত। তারা এখন কংগ্রেসের দিকে তাকিয়ে আছে। কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান দ্রুত বোঝাপড়ার আহ্বান জানিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছেন। এবার কংগ্রেসকে তাদের সিদ্ধান্ত ঠিক করতে চিঠি দিয়েছে আইএসএফ।

এদিকে আসামে বদরুদ্দিন আজমলের দল এআইইউডিএফের সঙ্গে কংগ্রেস জোট বেঁধেছে। কিন্তু আসন ভাগাভাগি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

সোনিয়া-রাহুলের হাতে সব মিলিয়ে সময় অনেক কম। এত আগে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলে দিয়েছে।

গত বছরের আগস্টে কংগ্রেসের যে নেতারা সাংগঠনিক সংস্কারের দাবি জানিয়ে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন, ভোটের ঠিক আগে সেই ‘জি-২৩’ গোষ্ঠীর নেতারা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। আজ শনিবার জম্মুতে এই নেতাদের অনেকে এক অরাজনৈতিক মঞ্চে উপস্থিত হন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিবাল, আনন্দ শর্মা, বিবেক তনখা, মনীশ তিওয়ারি, ভূপিন্দর সিং হুডা ও রাজ বব্বর।