পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যুর হার নামল এক সংখ্যায়

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ
প্রতীকী ছবি

পশ্চিমবঙ্গে গত ৭ মাসের মধ্যে এই প্রথম ২৪ ঘণ্টায় করোনায় (কোভিড–১৯) মৃত্যুর সংখ্যা নেমে এসেছে একক সংখ্যায়। ফলে রাজ্যজুড়ে কিছু স্বস্তির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এদিকে আজ বৃহস্পতিবারই এ রাজ্যে আসছে করোনা টিকা কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় কিস্তি।

পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তর গতকাল বুধবার রাতে এক বুলেটিনে জানায়, ৭ মাসের মধ্যে এই প্রথম এই রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা একক সংখ্যায় নেমে এসেছে। বিগত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মারা গেছেন ৬ জন। এর আগে গত ১২ জুন এই রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৯ জন। এরপর ১৩ জুন থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দুই অঙ্কের ঘরেই ছিল।

নতুন করে মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে কলকাতায় মারা গেছেন দুজন। জলপাইগুড়ি, নদীয়া, হুগলি ও উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় মারা গেছেন একজন করে। রাজ্যের ২৩টি জেলার মধ্যে অন্য জেলাগুলোতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল শূন্য।

করোনা প্রতিরোধে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে চলছে টিকাদান কর্মসূচি। গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। প্রথম পর্যায়ে ১২ জানুয়ারি রাজ্যে অক্সফোর্ডের সঙ্গে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি টিকা কোভিশিল্ড আসে। প্রথম দফায় আসে ৬ লাখ ৮৯ হাজার ডোজ। আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় মহারাষ্ট্রের পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসছে আরও ৬ লাখ ৯৯ হাজার ডোজ।

আবার ওই ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৯ জন। এর মধ্যে কলকাতায় ৮৯ জন, উত্তর চব্বিশ পরগনায় ১০৯ জন, পশ্চিম বর্ধমানে ৩১ জন, হাওড়ায় ২৮ জন, নদীয়ায় ২৩ জন ও হুগলিতে ১৯ জন আক্রান্ত হন। একজন করে আক্রান্ত হন আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং ও মালদহে। দুজন করে কোচবিহার ও দক্ষিণ দিনাজপুরে এবং তিনজন ঝাড়গ্রামে। চারজন আক্রান্ত হয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরে।

স্বাস্থ্য বুলেটিনে আরও বলা হয়, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে গতকাল বাড়ি ফিরেছেন ৫০৯ জন। সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৪৮২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭২৭ জন। মারা গেছেন এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৮০ জন। পাশাপাশি এখন সংক্রমণের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৫১ শতাংশে। আর সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ০৪ শতাংশে।

এদিকে করোনা প্রতিরোধে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে চলছে টিকাদান কর্মসূচি। গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। প্রথম পর্যায়ে ১২ জানুয়ারি রাজ্যে অক্সফোর্ডের সঙ্গে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি টিকা কোভিশিল্ড আসে। প্রথম দফায় আসে ৬ লাখ ৮৯ হাজার ডোজ। আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় মহারাষ্ট্রের পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসছে আরও ৬ লাখ ৯৯ হাজার ডোজ। প্রথম পর্যায়ে আসা কোভিশিল্ডের ৪৩ হাজার ডোজ ইতিমধ্যে এই রাজ্যে প্রয়োগ করা হয়েছে।