পশ্চিমবঙ্গে ট্রাক–কনেযাত্রীবাহী ৩ গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১৪

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

পশ্চিমবঙ্গে বউভাত অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে কনেযাত্রীবাহী তিনটি গাড়ির সঙ্গে পাথরবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষে ১৪ কনেযাত্রী মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের  জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ধূপগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, পাথরবোঝাই ট্রাকটি অপর একটি ট্রাককে অতিক্রম করে সামনে এগোতে গিয়ে ওই তিন গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এদিকে দুর্ঘটনার জেরে এশিয়ান হাইওয়েতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার পর ওই দিন দিবাগত রাত দুইটার দিকে মহাসড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ধূপগুড়ির ৫০ জন কনেযাত্রী তিনটি ছোট গাড়িতে করে গতকাল রাতে যাচ্ছিলেন ধূপগুড়ির ময়নাতলি এলাকার একটি বিয়েবাড়িতে। রাতে রাস্তা ফাঁকা থাকায় তিনটি গাড়িই উল্টো পথে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে। এ সময় ওই পথ দিয়ে আসা একটি ট্রাকের (১০ চাকার ডাম্বার) সঙ্গে কনেযাত্রী বহনকারী তিনটি গাড়ির একটির সংঘর্ষ হয়। এতে গাড়িটি সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে উল্টে যায়। মুহূর্তের মধ্যে বাকি দুটি গাড়িও এসে পড়লে ট্রাকটি এ দুই গাড়িকেও চাপা দেয়। খবর পেয়ে ছুটে আসে ধূপগুড়ি থানা–পুলিশ। সেই সঙ্গে পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব, স্থানীয় বিধায়ক মিতালী রায়সহ অন্যরাও ছুটে আসেন। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। উদ্ধারকাজে অংশ নেয় পুলিশ ও দমকল বাহিনী।

স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, পাথরবোঝাই ট্রাকটি অপর একটি ট্রাককে অতিক্রম করে সামনে এগোতে গিয়ে ওই তিন গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

হতাহত ব্যক্তিরা জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি, চূড়াভান্ডার, রানীহাট মোড়, সাপ্টিবাড়ি ও মালবাজারের ডামডিম এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ সুপার বলেছেন, দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে।