পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় দিনে টিকা দেওয়া চলছে

কলকাতার পিজি হাসপাতালে করোনার টিকা নিচ্ছেন একজন
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আজ সোমবার সকাল ১০টায় দ্বিতীয় দিনের মতো টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে। রাজ্যের ২০৭টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আজ টিকা দেওয়া হবে।

ভারতে গত শনিবার টিকা দেওয়া শুরু হয়। ওই দিন পশ্চিমবঙ্গেও টিকা দেওয়া হয়। তবে রোববার টিকা দেওয়া বন্ধ ছিল।

কলকাতার ১৯টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হবে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, টিকার কারণে কারও শরীরে অ্যালার্জি দেখা দিলে তাঁকে আপাতত টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে না।

পশ্চিমবঙ্গে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কমছে। করোনার টিকা প্রদান শুরু হওয়ায় রাজ্যবাসীর মধ্যে স্বস্তি এসেছে।

গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গের ২০৭টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হয়েছে। এদিন ১৫ হাজার ৭০৬ জন প্রথম সারির যোদ্ধারা টিকা পেয়েছেন।

গতকাল রোববার রাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানানো হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে মারা গেছেন মাত্র ১২ জন। আক্রান্ত হয়েছে ৫৬৫ জন। আর সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬২১ জন। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত এই রাজ্যে মারা গেছে ১০ হাজার ৫৩ জন। আর সংক্রমিত হয়েছে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ২৭২ জন।

এখন গোটা রাজ্যে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭ হাজার ৮৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

আগস্ট মাসের মধ্যে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ভারত সরকার। দেশটির সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল, কলেজ, কমিউনিটি হল, মিউনিসিপ্যাল কার্যালয় ও বিয়ের হলগুলোয় টিকাদান কর্মসূচি চলছে।

ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড ও স্থানীয় ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকার অনুমোদন দিয়েছে। টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে সবাইকে। প্রথম পর্যায়ে টিকা নেবেন—এমন ৮০ লাখ মানুষকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়েছে। ৬ লাখের বেশি মানুষকে টিকার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। দুটি ডোজ নেওয়ার পরে টিকাদানের সনদ দেওয়া হবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত শনিবার ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন নিয়ে গুজবে বিশ্বাস না করতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া দুটি টিকার নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট। আমাদের টিকা উৎপাদনকারীরা বিশ্বে আস্থাভাজন।’ ওই দিন মোদি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় ভারতের টিকা সস্তা।