পশ্চিমবঙ্গে বোমা মিজানের ২৯ বছর কারাদণ্ড

২০১৪ সালের ২ অক্টোবর খাগড়াগড়ের এই বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে
ফাইল ছবি

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় কওসার ওরফে বোমা মিজানকে ২৯ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ বলছে, তিনি নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।


কলকাতার জেলা ও দায়রা আদালতে গঠিত জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) বিশেষ আদালত আজ বুধবার এ রায় দেন। বোমা মিজান পশ্চিমবঙ্গের কারাগারে বন্দী।

খাগড়াগড় বিস্ফোরণের মামলায় দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে কওসার ওরফে বোমা মিজান সর্বোচ্চ সাজা পেলেন। এর আগে এ মামলায় অভিযুক্ত মোট ৩৪ জনের মধ্যে ৩২ জন আদালতে দোষ স্বীকার করে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিত হন। দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে দুজন নারীও আছেন।

পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ বলছে, এ পর্যন্ত দণ্ডিত আসামিদের পাঁচজন জেএমবির সদস্য। এর মধ্যে কওসারের বাড়ি বাংলাদেশের খুলনায়। তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করেননি। এ মামলায় আরেক আসামি সালাউদ্দিন সালেহান পলাতক।

এনআইএ বলছে, সালাউদ্দিন ধরা পড়লে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে তাঁর বিচার করা হবে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার অভিযুক্ত আরও দুই জঙ্গি আদালতে দোষ স্বীকার করেন। তাঁদের প্রত্যেককে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার রুপি করে জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। এই দুই জঙ্গি হলেন কদর কাজী ও মোস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর একই আদালত আরও চার জেএমবি জঙ্গিকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও পাঁচ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। দণ্ডাদেশ পাওয়া ওই ৪ জেএমবি জঙ্গি হলেন মোহাম্মদ ইউনিস, মতিউর রহমান, জিয়াউল হক ও জহিরুল শেখ।

২০১৪ সালের ২ অক্টোবর খাগড়াগড়ের একটি দ্বিতল বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। আহত হন তিনজন। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ জানায়, ওই বাড়িটি ছিল জেএমবির পশ্চিমবঙ্গের ঘাঁটি।