পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদী ঠেকাতে চার জেলায় কড়া নজরদারি

ঝাড়গ্রাম পরিদর্শনে রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালক বীরেন্দ্র
ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদী–অধ্যুষিত জঙ্গলমহলের চারটি জেলার নিরাপত্তা জোরদারের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই চার জেলার আন্তরাজ্য সীমান্তে কড়া পুলিশি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা চারটি হলো পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া। এই জেলাগুলো মূলত পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খন্ড ও ওডিশা লাগোয়া। ঝাড়খন্ড ও ওডিশায় ব্যাপক মাত্রায় মাওবাদী তৎপরতা রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ জন্য রাজ্যে মাওবাদী তৎপরতা ঠেকানোর বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলার জঙ্গলে মাওবাদীদের উপস্থিতি টের পাওয়ার পর সজাগ হয় রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসন। ঘটনা শোনার পরই ওই অঞ্চলে ছুটে যান রাজ্য পুলিশের মহাপরিচালক বীরেন্দ্র। তিনি জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। জেলার বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তিনি জঙ্গলমহলের চার জেলার সঙ্গে অন্য রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় মাওবাদী তৎপরতা রুখতে বিশেষ নির্দেশ দেন। তিনি আন্তরাজ্য সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে পুলিশি নজরদারি জোরদার করার নির্দেশ দেন।

ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল
ছবি: সংগৃহীত

মাওবাদী তৎপরতা রুখতে গত শনিবারই ঝাড়গ্রামে ৩ কোম্পানি সিআরপিএফ জওয়ান যোগ দেন।

রাজ্য পুলিশ ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া জেলার আন্তরাজ্য সীমান্ত এলাকা সুরক্ষিত রাখতে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে দিচ্ছে। জানা গেছে, এই আন্তরাজ্য সীমান্ত এলাকায় ৪ হাজার ৬২০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। তৈরি করা হচ্ছে ১২৩টি ওয়াচ টাওয়ার। নজরদারি করতে গড়া হচ্ছে ১০০টি কন্ট্রোল রুম। এর ফলে রাজ্য সচিবালয় নবান্ন থেকে জঙ্গলমহলের ১৯টি থানার ওপর নজরদারি করতে পারবে রাজ্য প্রশাসন।