পশ্চিমবঙ্গে ১৬ জানুয়ারি থেকে টিকাদান শুরু

করোনাভাইরাসের টিকা
রয়টার্স ফাইল ছবি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ১৬ জানুয়ারি টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে তিন কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হবে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স ও পুলিশ কর্মীরা এই টিকা পাবেন। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ এই টিকা পাবেন। তবে ৫০ বছরের নিচের অসুস্থ ব্যক্তিদেরও এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গের জন্য ১০ লাখ ৮০ হাজার টিকা বরাদ্দ করেছে। দেশে দ্বিতীয় দফায় প্রয়োজন হবে ২৭ কোটি টিকা। দুই দফায় লাগবে ৩০ কোটি টিকা। এরপরে সাধারণ জনগণ টিকা পাবে। কেন্দ্রীয় সরকার এখনো জানায়নি সেই সংখ্যা কত হতে পারে।

আগামীকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে টিকা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কেন্দ্রীয় সরকার এখনো বলেনি, দ্বিতীয় দফার টিকা কবে শুরু হবে। কাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যেতে পারে।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গের জন্য পাঠানো হচ্ছে ১০ লাখ ৮০ হাজার টিকা। উড়োজাহাজে টিকা আসার পর ৪৭টি ভ্যানের মাধ্যমে তা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর বলেছে, রাজ্যের ৯৪১টি কেন্দ্রে ৯ থেকে ১০ কোটি টিকা রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। কলকাতার বাগবাজারের কেন্দ্রীয় স্টোরে দেড় কোটি টিকা রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে আরও ৪০ লাখ টিকা রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গে প্রথম ১৭ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ হয়। ২২ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে ১২ ঘণ্টার জনতা কারফিউ পালিত হয়। ২৪ মার্চ থেকে শুরু হয় দেশব্যাপী ২১ দিনের লকডাউন। ৬৮ দিন পর্যন্ত লকডাউন চলে। ১ জুন শুরু হয় আনলক। পাঁচটি ধাপে আনলক কর্মসূচি চলে। আনলকের মাধ্যমে লকডাউনের নানা কড়াকড়ির ওপর ছাড় দেওয়া হয়।

এ বছরের ১ জানুয়ারি কোভিশিল্ডকে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে অনুমতি দেয় ভারত সরকার। আর ৩ জানুয়ারি দুটি টিকা কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে অনুমোদন দেয় ভারত সরকার। ৯ জানুয়ারি টিকা প্রয়োগ শুরুর অনুমোদন দেয় ভারত সরকার। ১৬ জানুয়ারি থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে।