প্রভাব খাটিয়ে চাকরি নেওয়ায় প্রতিমন্ত্রীর মেয়েকে বরখাস্ত

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী
প্রথম আলো ফাইল ছবি।

পশ্চিমবঙ্গে প্রভাব খাটিয়ে এক প্রতিমন্ত্রীর মেয়েকে শিক্ষকতার চাকরি দেওয়াসংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হয়েছে আজ শুক্রবার। সকালে শুনানি শেষে অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকাকে শিক্ষকতার পদ থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই শিক্ষিকা হলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী।

ইতিমধ্যে অঙ্কিতার পাওয়া ৪১ মাসের বেতনও দুই কিস্তিতে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ভবিষ্যতে অঙ্কিতা কখনো নিজেকে শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন না। এমনকি শিক্ষকতা পেশাতেও আসতে পারবেন না।

পরেশচন্দ্র অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি নিজের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা উচ্চবিদ্যালয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ দিয়েছেন।

১৭ মে মামলাটি ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিবিআই) মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিচারপতি আরেক নির্দেশে এ ঘটনার জন্য রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পরেশচন্দ্র অধিকারীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে সুপারিশ করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ করা হয় কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা উচ্চবিদ্যালয়ে। অথচ একই সময়ে নিয়োগ পরীক্ষায় ববিতা সরকার নামের এক প্রার্থী অঙ্কিতার চেয়ে ১৬ নম্বর বেশি পেয়েছিলেন। তবু তাঁর চাকরি হয়নি। তাই এই বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ এনে ববিতা কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন। তাতে বলা হয়, ববিতার নাম ২০ নম্বরে থাকলেও হঠাৎ করে ২১ নম্বরে চলে যায়।

পরেশ অধিকারী ফরোয়ার্ড ব্লক দল থেকে দীর্ঘদিন বামফ্রন্ট আমলে মন্ত্রী ছিলেন। এরপর ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।